গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
হুড খোলা জিপ নয়, সুজনের জন্য প্রস্তুত ছিল ছাউনি খোলা টোটো। তাতে চেপেই একে একে বিদ্যাসাগর রোড, প্রান্তিক সরণি, রবীন্দ্র সরণি, গরুই পঞ্চানন সরকার রোড, গরুই মানসীপাড়া, নতুনপাড়া, প্রমোদনগর, ঝিলপাড় বটতলা মেইন রোড, ক্ষুদিরামপল্লি হয়ে ঘণ্টা তিনেকের জনসংযোগ সারেন সুজন। অপরিসর রাস্তার কারণে গরুই মানসীপাড়ায় টোটো থেকে নেমে যান তিনি। পাশেই চাতালে বসে তাস খেলছিলেন কয়েকজন মধ্যবয়স্ক। তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সুজন বলেন, দেখতেই পারছেন কী পরিস্থিতি! নতুন করে আমার কিছু বলার নেই। শুধু বলব, ছেলেমেয়েদের চাকরি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় মানুষ ভালো নেই। আমাদের সময় এমন অনাসৃষ্টি ছিল না। একটু দেখবেন। সুজনের হাত ধরে আশ্বস্ত করেন সেই ভোটাররাও।
যাত্রাপথে অল্পবয়সি ছেলে-মেয়ে থেকে বয়স্ক মহিলা-পুরুষরা এসে হাত মেলালেন, মালা পরিয়ে দিলেন। কারও সঙ্গে সেলফিও তুললেন সুজন। প্রমোদনগর বাজারে এসেও খানিকটা পথ হাঁটেন তিনি। টোটোয় চলতে চলতে মাঝেমধ্যেই দাঁড়িয়েছেন। হাতে মাইক নিয়ে বক্তব্যও রেখেছেন। বিশেষ করে কলোনি পাড়াগুলিতে সুজনকে দেখতে মোড়ে মোড়ে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁর বক্তব্যে একদিকে যেমন ছিল মূল্যবৃদ্ধির সমালোচনা, সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক, ঠিক তেমনই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন সুজন।
কথা ছিল ঘণ্টা দুয়েকে প্রচার সেরে নেবেন। কিন্তু কখনও রিকশওয়ালা, কখনও টোটোচালক, বা কোনও মুদি দোকানের সামনে থেকে কোনও লোকের ডাকে দাঁড়িয়ে পড়েন সুজন। তাঁদের সঙ্গে মতো বিনিময় করেন। স্বাভাবিকভাবেই বিকেল গড়িয়ে রাত হয়েছে। কখন তিন ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, সেই খেয়ালও থাকেনি। এদিন দমদম ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের একাধিক কলোনি অঞ্চলে ঘুরে বেড়ান সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে সিএএ’র কথা। সুজন বলেন, জ্যোতি বসু কিংবা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য থাকাকালীন কোনও দল এসে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি বা সিএএ নিয়ে হুমকি দিতে পারেনি। তাঁর আবেদন, বামেদের হাত শক্ত হলেই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। বারবার বক্তৃতার ফাঁকেই সুজন রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, আমরা ভালো ছিলাম তো? জনতার মধ্যে অনেকেই হাত তুলে সুজনের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে। - নিজস্ব চিত্র