নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: একগুচ্ছ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, যার সুবিধা পাচ্ছে মানুষ। তৃণমূলের কর্মীরা তাই শহর থেকে গ্রামে গিয়ে এই সামাজিক প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করেই প্রচার করছেন। শুধুমাত্র তাঁরাই নন, প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া উপভোক্তারাও বারাসতের তৃণমূলের প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু করলেন। রীতিমতো উপভোক্তাদের ছবি ও পরিষেবা নিয়ে ফ্লেক্স তৈরি করে প্রচার শুরু করেছেন বারাসত পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চৈতালি ভট্টাচার্য। বারাসত পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর অশ্বিনীপল্লির বাসিন্দা চানু মল্লিক। তাঁর মেয়ে তাপসী মল্লিকের বয়স যখন অল্প, তখন তাঁর বাবা পরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। স্বামীর অবর্তমানে চানু অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করে দুই সন্তানকে কোনওরকমে বড় করেন। এর মধ্যে তাপসী বিবাহযোগ্যা হয়ে ওঠেন। পাত্রও ঠিক হয়। বিয়ের আগেই তাপসী রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন। আবেদনের ভিত্তিতে ২৫ হাজার টাকাও পেয়ে যান। অভাবী পরিবারের তাপসীর বিয়ে হয় গত ২৮ এপ্রিল। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বারাসতের পান্নাঝিলে। রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকায় বিয়ে হওয়া তাপসীকে নিয়ে প্রচার করছে তৃণমূল।
রীতিমতো ব্যানার দিয়ে চলছে প্রচার। ব্যানারে লেখা– ‘আমি তাপসী মল্লিক। আমি রূপশ্রী। এই প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পেয়েছি। বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারকে আমি ভোট দেব। আপনারাও দিন।’ তাপসী বলেন, সরকারি এই সুবিধা পেয়েছে আমার মতো বহু অসহায় মানুষ। তাই আমরা দিদির হয়ে প্রচারে নামছি। এদিকে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বিনামূল্যে গলব্লাডার অপারেশন করিয়েছেন নবীননগরের সুলেখা বিশ্বাস। মাস দু’য়েক আগে অপারেশনের পর এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। 
সুলেখা বলেন, ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের সঙ্গে আমিও ভোটের প্রচারে বের হচ্ছি। রাজ্য সরকারের প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার কথা বলব। গ্রামের মানুষকে সচেতন করে বলব, কোনও প্রতারণায় পা নয়। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চৈতালি ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কাজে লাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবা। কোনও জোর করছি না, উপভোক্তারা নিজেরাই প্রচারে এগিয়ে এসেছেন। আসলে এটাই হল ‘মমতার গ্যারান্টি’।