কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, জলকণা এবং গ্যাসের সমষ্টিকে একত্রে ‘এরোসোল’ বলে। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান বিষয়ক প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ারের কেমোস্ফিয়ারের পত্রিকার মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে এরোসোলের অম্লত্ব বেড়ে যাওয়া সংক্রান্ত গবেষণা। মূল গবেষণাটি বোস ইনস্টিটিউটের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং আইআইটি কানপুরের গবেষক অভিনন্দন ঘোষের। সে দলে ছিলেন মনামি দত্ত, বোস ইনস্টিটিউটের সনৎকুমার দাস এবং আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক মুকেশ শর্মা। গবেষকদের দাবি, ‘ভারী ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বাতাসে ভাসমান দূষক পিএম ২.৫ (ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা) সক্রিয় অক্সিজেন যৌগ ‘আরওএস’ তৈরি করে। এই আরওএস’ই মৃত্যু ডেকে আনছে ম্যানগ্রোভের।’
সাধারণভাবে কম দূষিত বায়ু হলেও এই আরওএসের পরিমাণ যে কোনও শহরাঞ্চলের মতোই রয়েছে সুন্দরবনে। সেখানে মূল দূষক হল বাতাসের ব্ল্যাক কার্বন এবং কালি (সুট)। এমনিতে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদগুলি সহজাতভাবে কিছু অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট তৈরি করে যা তাদের দূষণ থেকে বাঁচায়। তবে দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকা ভারী ধাতু পরিস্থিতি প্রতিকূল করে ফেলেছে। আরওএস ম্যানগ্রোভের উপরে ‘স্ট্রেস’ বা চাপ তৈরি করছে। ফলে প্রাকৃতিক শোধন ক্ষমতা কমছে। আর চূড়ান্ত বিপদ হিসেবে তাদের কোষের ক্ষতি করছে। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘সুন্দরবনের কিছু অঞ্চলে এখন বৃষ্টি হলে সেটা হবে ‘অ্যাসিড রেন’। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝে আপৎকালীন তৎপরতার সঙ্গে সরকারকে কার্যকর করতে হবে। ডিজেলচালিত নৌকা বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজন, উপকূলীয় আইন কঠোরভাবে পালন। পাশাপাশি ধরপাকড় এবং জরিমানা আদায়ও করতে হবে সরকারকে।’