শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, তদন্তের নির্দেশ পেয়ে এদিনই প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেন বাঙুরের সুপার ডাঃ অসীম হালদার। এদিন সেই তদন্তের রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় স্যাকস-এর যুগ্ম অধিকর্তার ফরওয়ার্ড করা বাড়ির লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেও শুরু হয়েছে তদন্ত। এদিনই ন্যাকো এবং স্যাকস-এর দুই পদস্থ আধিকারিক গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে এম আর বাঙুরে যান। তাঁরা প্রসূতি ওয়ার্ডের কর্মী, নার্সদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা হয় সেখানকার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের প্রধানের সঙ্গেও। এছাড়াও সুপার অসীমবাবুর কাছ থেকে এনিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন তাঁরা। কথা বলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এইচআইভি আক্রান্তদের সংগঠনের সভাপতির সঙ্গেও। সেই রিপোর্টও শীঘ্রই স্যাকস-এর যুগ্ম অধিকর্তাকে (কেয়ার অ্যান্ড সাপোর্ট) তাঁরা জমা দেবেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি আক্রান্ত এক প্রসূতির চিকিৎসায় চরম গাফিলতি এবং তাঁর পরিচয় ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাঙুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সোমা রায় (নাম পরিবর্তিত) নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই প্রসূতি ও তাঁর দুই গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন তাঁর স্বামী স্বপন রায় (নাম পরিবর্তিত)। ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি চেয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের স্যাকস কর্তাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন স্বপনবাবু। ঘটনার বিহিত চেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এইচআইভি আক্রান্তদের সংগঠন এসএনপি প্লাসও।
সূত্রের খবর, ১১ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এম আর বাঙুরে রেফার করা হয়েছিল সোমাদেবীকে। অবস্থা জটিল থাকায় প্রথম চারদিন তাঁকে এইচডিইউতে রাখা হয়েছিল। ১৮ মার্চ সন্তান প্রসব হওয়ার কথা ছিল। সেদিন রাতেই মারা যান সোমাদেবী। শুধু চিকিৎসায় গাফিলতি নয়, ওয়ার্ডে ওই মহিলার পরিচয় ফাঁস করে দেওয়া, এমনকী ডেথ সার্টিফিকেটেও এইচআইভি লিখে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের সুপার অসীমবাবু বলেন, তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট জমা দিয়েছি স্বাস্থ্যভবনে।