শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
উল্লেখ্য, এর আগে রাজারহাটের পার্শ্ববর্তী বিধাননগরের মহিষবাথানে পুরসভার পানীয় জলের লাইন থেকে জল চুরি করে বোতলবন্দি করে বিক্রি করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস একজনকে গ্রেপ্তার করে।
এক্ষেত্রে রাজারহাটের ওই গ্রামে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই। মূলত নলকূপের মাধ্যমে জল তোলা হয়। ডায়েরিয়া যে এলাকায় হয়েছিল, সেখানে দুটি এরকমই নলকূপের জল পরীক্ষার পর তাতে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। তাই সেরকমই কোনও নলকূপের জল তুলে তা বোতলবন্দি করে যদি বিক্রি করা হয়, তাহলে তাতেও বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই বোতলবন্দি পানীয় জল সরবরাহকারী প্ল্যান্টগুলি কোথা থেকে জল নিচ্ছে, সেবিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।
সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে ওই গ্রামের দুটি নলকূপকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলির জলও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অবশ্য এখনও ব্যাকটেরিয়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপাতত সরাসরি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের দাবি, ভোট পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এবিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে গেলে প্রশাসনিক অনেক ভাবনা-চিন্তা করতে হবে। কিন্তু, এর মধ্যেই গ্রীষ্মকাল ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই জলের চাহিদা আরও বাড়বে। সেক্ষেত্রে যাতে আরও কেউ পানীয় জল খেয়ে কোনওভাবে অসুস্থ না হয়, সেবিষয়ে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ভোটপর্ব মিটলেই বোতলবন্দি পানীয় জল তৈরির প্ল্যান্টগুলির উপর আরও কড়া নজরদারি শুরু করা হবে। ব্লক সূত্রের খবর, স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বহু বোতলবন্দি পানীয় জল সরবরাহকারী প্ল্যান্ট গভীর নলকূপের জল নিয়ে তা প্যাকেজ করে বিক্রি করছে। তাই সেগুলির দিকে আরও কড়া নজর রাখা হবে বলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।