কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পুজোর আগে হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর আলুর পাইকারি দাম চলছিল ৯ টাকা কেজি। কলকাতার খুচরো বাজারে সেই আলু ১৪ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছিল। পুজোর পর থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর পাইকারি দাম বাড়তে বাড়তে ১২ টাকা পার হয়ে এখন ১৫ টাকা ছুঁয়েছে।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হিমঘরগুলিতে এখন ২৬ শতাংশের মতো আলু মজুত আছে। পরিমাণগত হিসেবে এটা প্রায় ১৬ লক্ষ টন। গত মরশুমে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে প্রায় ৬৭ লক্ষ টন আলু মজুত করা হয়েছিল। এবার আলু ওঠার মুখে অসময়ের বৃষ্টিতে ফলনের ক্ষতি হয়। তাতে হিমঘরগুলি একশো শতাংশ ভর্তি করা যায়নি।
নভেম্বর মাসে হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর চাহিদা বাড়বে। বাজারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বীজ হিসেবে ব্যবহারের জন্য আলু বের করা হবে। নতুন আলু জমিতে লাগানোর কাজ এবার শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বাজার ও জমিতে লাগানোর জন্য নভেম্বর মাসে অন্তত ১২ লক্ষ টন আলু হিমঘর থেকে বের করতে হবে। এদিকে, ভিন রাজ্যেও আলুর চাহিদা বাড়ছে। ওড়িশা, বিহার, অসম, প্রভৃতি রাজ্য আলু বেশি পরিমাণে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী মহলের দাবি, শেষ সময়ে দাম বাড়ায় কৃষকদের লাভ হচ্ছে। এবার হিমঘরে কৃষকরাই বেশি পরিমাণে আলু রেখেছিলেন। বেশিরভাগ সময়ে হিমঘরে রাখা আলু বের করে লাভ বিশেষ হয়নি। শেষ সময়ে কিছুটা লাভ হচ্ছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু সংরক্ষণের সময় রয়েছে। এবার সময়সীমা বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ী সংগঠন সরকারের কাছে কোনও অনুরোধ করছে না।
হিমঘরে এখনও যে পরিমাণ আলু রয়েছে তা দিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম দিকেও বাজারের চাহিদা মেটানো যাবে বলে ব্যবসায়ী মহলের আশা। ডিসেম্বরেই নতুন আলু বাজারে এসে যায়। প্রথমে পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ থেকে আলু আসে। তারপর রাজ্যে উৎপাদিত পোখরাজ ভ্যারাইটির আলু বাজারে আসতে শুরু করবে। এবার অবশ্য ভিন রাজ্যের নতুন আলু আসতে কিছুটা দেরি হতে পারে। বৃষ্টির জন্য উত্তর ভারতে আলুর চাষ দেরিতে হয়েছে। এরাজ্যেও চাষ কিছুটা দেরিতে হচ্ছে বৃষ্টির জন্য। দেরিতে চাষ হওয়ার প্রভাব বাজারে কতটা পড়ে, এখন সেটাই দেখার। নতুন আলু বাজারে আসতে দেরি হলে হিমঘরে সংরক্ষিত আলুর ভরসায় বেশি সময় থাকতে হবে।