পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
অমিতবাবু বলেন, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ জাইকার সহযোগী কাওয়াসাকি ট্রান্সপোর্টেশনের প্রধান কিউচি হিগুচির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। পরের বছরেই উনি আমাকে জানান, আমরা একটি ইউনিক প্রকল্প করতে চাই, যেখানে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে সব্জি সংরক্ষণ করা যাবে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটা কখনও সম্ভব হবে কী! কিন্তু, তারপর প্রতি তিন মাস উনি আমার কাছ থেকে খবর নিতে শুরু করেন। অবশেষে আমরা ওনার এই স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করছি। এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটি চালাতে প্রতিবছর গড়ে ৯০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। এই কক্ষগুলির তাপমাত্রা সবসময় ১৬ থেকে ২৪ ডিগ্রির মধ্যে রাখা হবে। অমিতবাবু বলেন, কৃষিকাজই বাংলার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাই কৃষি ও কৃষিজ পণ্যের যথাযথ ব্যবহারের উপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। অমিতবাবু বলেন, এই ধরনের সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করলে সব্জি নষ্ট হওয়া ও অভাবী বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সুফল বাংলার মাধ্যমে ফড়ে প্রথার বিলুপ্তি ঘটিয়ে চাষিদের আয় প্রায় দ্বিগুণ করা সম্ভব হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী ছাড়াও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, মৎস্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অসীমা পাত্র, জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জাপানের কনসাল জেনারেল মাসাউকি তাগা, জাইকার প্রধান কাজুয়া নাকাজো ও কায়াসাকি ট্রান্সপোর্টেশনের প্রধান কিউচি হিগুচি সহ জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বে থাকা কিউচি হিগুচি বলেন, জাইকার আর্থিক সহায়তায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালিত এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা সুফল বাংলা প্রকল্পকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ২৫ বছর সংরক্ষণ ব্যয় বাড়ার কোনও সম্ভাবনা থাকবে না। এছাড়াও এই কেন্দ্রগুলিতে সংরক্ষণ করে রাখা সব্জি বা ফলের গুণের কোনও পরিবর্তন হবে না। পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণের ফলে হিমঘরে সংরক্ষণ করা জিনিসগুলি বাইরে আনার পর যত দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এক্ষেত্রে তা হবে না।
কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনই এই সংরক্ষণ কেন্দ্রটিতে সাধারণ চাষিরা তাঁদের সব্জি সংরক্ষণ করতে পারবেন না। মূলত সুফল বাংলা প্রকল্পের আওতায় থাকা তাপসী মালিক কৃষক বাজারের নথিভুক্ত কৃষকরা ন্যূনতম খরচে তাঁদের সব্জি রাখার সুযোগ পাবেন।