কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
এদিন সকাল হতেই রানাঘাট শহরের স্টেশন বাজার, জিএনপিসি রোড, বড়বাজার, রানাঘাট বাসস্ট্যান্ডের সামনে, ভাংড়াপাড়া মোড় সহ বেশকিছু এলাকায় একটি পোস্টার নজরে আসে স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলেন, হয়তো বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে এই ধরনের পোস্টার কেউ সাঁটিয়েছে। বেশকিছু জায়গায় লিফলেটও পড়ে থাকতে দেখেছি। কিন্তু কারা এটা করেছে, জানি না। পোস্টারে ভারতীয় জনতা পার্টির সংবিধান প্রণেতা, বিশিষ্ট দার্শনিক ও চিন্তাবিদ হিসেবে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। পোস্টারের উপরের অংশে লেখা রয়েছে, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের মানবদরদী সুযোগ্য প্রার্থীকে জয় করুন। নীচে লেখা, একজন খারাপ প্রার্থী আপনার ভোট পাওয়ার দাবি করতে পারে না, কারণ সে একটি ভালো দলের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এমন একজনকে টিকিট দিতে গিয়ে দলের হাইকমান্ড পক্ষপাতিত্ব দেখিয়ে থাকতে পারে। অতএব ভোটারদের দায়িত্ব এই ধরনের ভুল সংশোধন করা। পোস্টারের বিষয়বস্তু এদিন সকাল থেকেই রাজনৈতিক মহল তো বটেই, রানাঘাটের বাসিন্দাদের কাছেও রীতিমতো চর্চার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে।
রাজনৈতিক মহল বলছে, পোস্টারের লেখায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জগন্নাথ সরকারকে দ্বিতীয়বার দলের প্রার্থী হিসেবে যে পদ্মশিবিরের একাংশ কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি, এটা তারই প্রমাণ। আবার মানবদরদী সুযোগ্য প্রার্থী হিসেবে যে নাম না করে মুকুটমণি অধিকারীকেই বোঝানো হচ্ছে, তাও অনেকাংশে স্পষ্ট। নিঃসন্দেহে এই ধরনের পোস্টার ভোটের দু’দিন আগে বিজেপিকে বড় চিন্তায় ফেলেছে। যদিও এপ্রসঙ্গে সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেছেন নদীয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, আমাদের প্রার্থীকে বদনাম করতে ও ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে তৃণমূল সবদিক থেকে চেষ্টা চালাচ্ছে। এই পোস্টারও ওরাই লাগিয়েছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল যত বেশি বিজেপির সমালোচনা করবে, জগন্নাথ সরকারের ভোট ততই বাড়বে। পোস্টার প্রসঙ্গকে আমল দিতেই রাজি নন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, তৃণমূল যা খুশি করুক। মানুষ ইতিমধ্যেই ঠিক করে ফেলেছেন যে তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। কেন্দ্রে মোদি সরকার আর রানাঘাটে জগন্নাথ সরকারই জিতবে।
যদিও বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের অনেকেরই দাবি, বিদায়ী সাংসদের একাধিপত্য মেনে নিতে না পেরে দল ছেড়েছিলেন মুকুটমণি। কিন্তু এখনও দলে তাঁর বহু সমর্থক রয়েছেন। বিজেপিতে থেকেও ব্যক্তিগতভাবে তাঁরা মুকুটমণিকেই সমর্থন করেন। এটা তাঁদেরই কাজ হতে পারে। যদিও রানাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, কোনও বিচক্ষণ মানুষ বিজেপি দলে থাকতে পারেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। আসলে ওই দলে অনেকেই রয়েছেন, না চাইতেও তাঁদের জগন্নাথ সরকারকে সমর্থন করতে হচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী জয় চান না দলেরই বহু কর্মী।