কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের কোন্দল বিপাকে রেখেছিল শাসক দলকে। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া টনিক দেওয়ার পরই কাজ হয়েছে। এই ব্লকের এক নেতা এবং নেত্রীকে আলাদা আলাদা এলাকার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। দলের নেতা বামদেব মণ্ডলকে এক নম্বর ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে মাধবডিহিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রশংসা করে গিয়েছেন। বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে ময়দানে কোমর বেঁধে নেমেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি পঞ্চায়ত এলাকা থেকে লিড হবে। বিজেপি এখানে ফ্যাক্টর নয়। সিপিএমের লোকজনই বিজেপিতে গিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দাপাদাপি করেছিল। এখানে সিপিএম এবং বিজেপির মধ্যে পার্থক্য নেই। তারপরও দু’দলই লিডের নিরিখে আমাদের থেকে অনেক পিছনে থাকবে।
রায়না-২ ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার বিধায়ক শম্পা ধাড়াকে। তিনি এই ব্লকে জোরদার প্রচার শুরু করেছেন। প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে সঙ্গে নিয়েও তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাজ্যের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিই নিয়েই মানুষের কাছে যাচ্ছি। প্রতিটি পরিবার কোনও না কোনও প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। তাঁরা আমাদের পাশে থাকবেন। এখানে আমরা অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে থাকব।
কয়েকদিন আগে রায়নায় প্রচার করতে এসেছিলেন সিপিএম প্রার্থী নীরব খাঁ। তিনি পথসভা থেকে তৃণমূলকে তোপ দেগে চলেছেন। তিনি বলেন, তৃণমূল এই এলাকায় লুট করেছে। দামোদর নদের চরিত্র বদলে যাচ্ছে। এই সমস্ত কারণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই এখানে আমাদের শক্তি বেড়েছে। পলাশন পঞ্চায়েতে আমাদের বোর্ড গঠন হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আরও কয়েকটি পঞ্চায়েত আমাদের বোর্ড গঠন হতো। একসময় কিছু মানুষ ভুল বুঝে বিজেপির দিকে গিয়েছিল। তারা ফিরে এসেছে।
রায়নায় সিপিএমের কামব্যাক হওয়ায় বিজেপির ঘুম ছুটেছে। কমরেডরা ২০২১ সালের অনেক গ্রামেই গেরুয়া শিবিরের ঝান্ডা ধরেছিলেন। তাঁরা এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, আমরাই এখানে মূল শক্তি। সেই কারণেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের উপর হামলা করছে। কয়েকদিন আগেই আমাদের এক মহিলা কর্মীকেও হেনস্তা করেছে। ভয় পাচ্ছে বলেই এসব করছে।