কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
এপ্রসঙ্গে জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, বুধবার আমি নিজে দাঁতনে ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেছি। সামাজিক দূরত্ব মেনেই দুর্গতদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমরা বিভিন্ন ব্লককে ৪৬ হাজার মাস্ক দিয়েছি। বাকি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্কের ব্যবস্থা করা হয়। দু-একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে, এটুকু বলতে পারি, অধিকাংশ ত্রাণ শিবিরে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনেই দুর্গতদের রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল।
দাঁতনের সোনাকানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই এলাকার শতাধিক মানুষকে রাখা হয়। স্কুলে তিনটি ঘর। দু’টি হল ঘর। ছোট একটি অফিস রুম। ওই অফিস রুমে মহিলাদের রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। আর বাকি দু’টি ঘরে গ্রামের লোকজনরা ছিলেন। দেবব্রত মাইতি নামে এক দিনমজুর বুধবার সকালেই বাড়ি ছেড়ে মা-বাবা আর বোনকে নিয়ে ত্রাণ শিবিরে এসে উঠেছেন। তিনি বলেন, আমরা যখন আসি তখনও স্কুলে ভিড় ছিল না। দুপুরের পর ঝড়ের দাপট বাড়তেই প্রচুর মানুষ এসে ভিড় করেন। ঘরের মধ্যে বেঞ্চ রয়েছে। সেখানেই গাদাগাদি করে বসেছিলাম। তবে, আমাদের মুখে মাস্ক ছিল। অনেকে গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন। বাইরে যেভাবে ঝড় বইছিল, তাতে করোনার ভয় উবে গিয়েছিল। তবে, রাতের দিকে ঝড়ের দাপট কমে যাওয়ায় আমরা অনেকে বাইরের বারান্দায় দূরত্ব বজায় রেখে শুয়েছিলাম।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে সকলেই এতদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কিন্তু, ঝড়ের কারণে তাঁরা আর বাড়িতে থাকার ঝুঁকি নেননি।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা বলেন, সাড়েঙ্গাশোলের সাতজন মুম্বই থেকে ফিরেছেন। ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজনকে গ্রামের ভিতরে একজনের বাড়িতে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু, পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ বাড়িতে রাখতে চাইছেন না। ফলে, ওদের আইসিডিএস কেন্দ্রে একটি ঘরে রাখা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ছোট ঘরে সাতজন তো গাদাগাদি করে ছিল। সামাজিক দূরত্ববিধি কি মানা হয়েছে? তিনি বলেন, মাস্ক, স্যানিটাইজার সবকিছুই তাঁদের দেওয়া হয়েছে। আসলে অন্য স্কুলগুলিতে বিভিন্ন গ্রামের দুর্গত মানুষজনকে রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু, পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ রাখতে চাইছিলেন না। বাধ্য হয়ে ওঁদের ওই আইসিডিএস কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এটা ঠিক, একটি ঘরে অতজন থাকার কারণে সামাজিক দূরত্ববিধি কিছুটা হলেও লঙ্ঘিত হয়েছে।