কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
গত তিন-চার দিনের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস ও ট্রেনে করে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা থেকে এরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরেন। তাঁদের আরামবাগ মহকুমারও বহু শ্রমিক রয়েছেন। তাঁরা বাড়ি ফেরার আগে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয় আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক কর্তা বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৬০০ জন ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিক আরামবাগে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে আসছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী, হাইরিস্ক রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সেই মতো গত ১৮ তারিখ আরামবাগে আসা খানাকুলের বেশ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে বুধবার রাতে তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এছাড়া এদিন আরও ১০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সবমিলিয়ে আরামবাগ মহকুমায় এই মুহূর্তে করোনা পজিটিভ ১৩জন।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জনের বাড়ি খানাকুল থানার বিভিন্ন এলাকায়। বাকি দু’জন আরামবাগের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পজিটিভ আসতেই পুলিসের তরফে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য শ্রীরামপুর কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন করোনা আক্রান্ত তিন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতায় পাঠানো হয়। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা অন্যান্য ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এব্যাপারে মহকুমার স্বাস্থ্য ও প্রশাসনিক কর্তারা কোনওরকম মন্তব্য না করলেও প্রশাসনিক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে ১৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে মুর্শিদাবাদেও আরও চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের বহরমপুরে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন মহিলা। তাঁরা কিছুদিন আগেই মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছিলেন। চারজনের মধ্যে দু’জন মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের, একজন ডোমকল এবং অন্যজন শক্তিপুর এলাকার বাসিন্দা। এনিয়ে জেলায় মোট ১৭জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার পরেই ওঁদের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। পজিটিভ রিপোর্ট আসতেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে বহরমপুরের মধুপুরের একটি পাড়াকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার ওই এলাকার এক বৃদ্ধার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল। এদিন বহরমপুর থানার পুলিস গিয়ে পাড়া সিল করে দিয়েছে।
বীরভূমেও করোনা আক্রান্ত এক পরিযায়ী শ্রমিকের হদিশ মিলল। গত ১৪ মে রামপুরহাট-১ ব্লকের বাসিন্দা বছর ৩৮-এর ওই শ্রমিকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল আসানসোলে। ওইদিন ওই যুবক সহ আরও ১০জন মিলে মুম্বই থেকে ছোট গাড়ি ভাড়া করে ফিরেছিলেন। পরে তাঁদের নিজ নিজ ব্লকের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়। এদিন বিকেলে আসানসোল থেকে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, রামপুরহাটে একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিনই ওই যুবককে বোলপুর করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তার খোঁজ চলছে।