কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
ভয়ঙ্কর ঝড়ের দাপটে বুধবার দুপুর থেকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা দিশাহারা হয়ে পড়েন। একের পর এক জানালা-দরজার কাচ ভাঙছে, ভিজে চৌপাট হয়ে যাচ্ছে রোগীদের বেড, প্রবল হাওয়ার দাপটে ছিঁড়ে পড়ে যাচ্ছে স্যালাইনের বোতল। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী বাবলু আলম সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বিদ্যুৎ নেই, রোগীরা আর্তনাদ করছেন। কী করব আমরা ভেবে উঠতে পারছিলাম না। সেই সময় মোবাইল সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একের পর এক বড় বড় গাছ হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ছিল প্রায় জানালারা উপর। রোগীরা ভয়ে আর্তনাদ করছেন। নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকরা রোগীদের বাঁচাতে তখন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। আইসোলেশন ওয়ার্ড জলে থই থই করছিল। এই পরিস্থিতিতে সেখান থেকে রোগীদের সরিয়ে আনতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। এক চিকিৎসক বলেন, একদিকে মুমূর্ষু রোগী, অন্যদিকে প্রসূতি মায়েদের নিয়ে আমরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে কাটাতে হয়েছে।
হাসপাতালের সুপার সুমনা দাশগুপ্ত বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কবে বিদ্যুৎ আসবে আমরা জানি না। দ্রুত বিদ্যুৎ আনার জন্য সমস্ত জায়গায় ফোন করছি। আপাতত ১০০লিটার ডিজেল কিনে জেনারেটর চালিয়ে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ মেশিন চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রোগীদের পরিষেবা দিতে কঠিন লড়াই চালাচ্ছি আমরা। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও হাসপাতাল আবাসনে জল না থাকায় রোগী, নার্স, চিকিৎসক সবাই সমস্যায় পড়েছেন। হাসপাতাল মেরামতির জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে চিঠি পাঠাচ্ছি।
অন্যদিকে, হলদিয়া বন্দর বড়সড় বিপদের হাত থেকে বেঁচেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে হলদিয়া বন্দর এলাকায় প্রায় ১০০০টি গাছ উপড়ে পড়লেও যন্ত্রাংশের তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বন্দর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(ট্রাফিক) অভয় মহাপাত্র বলেন, এদিন বিকেল থেকে বন্দরের কয়েকটি বার্থে জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ শুরু হয়েছে। এদিন রাত ৮টা নাগাদ বন্দর থেকে দু’টি পণ্যবোঝাই জাহাজ ছেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বন্দরের জিসি বার্থে যে বিশাল শেড ছিল, তার ছাউনি ঝড়ে উড়ে গিয়েছে। মেরামতির কাজ কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে।
এদিন বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ের তাণ্ডবে সাগর এবং কাঁথির দাদনপাত্রবাড়ে ভেসেল ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(ভিটিএমএস) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে কেবল সিস্টেম নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে জাহাজের যাতায়াতের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে।