কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি ব্লক এলাকায় কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে কাজ করেন। তাঁদের অনেকে লকডাউনের মাঝে বাড়ি ফিরে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আরও অনেকে ফিরে আসবেন। তবে এখানে এসে তাঁরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এমনকী ভিনরাজ্য থেকে আসার কারণে দিনমজুরির কাজও কেউ দিতে চাইছেন না বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি কান্দি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের নিয়ে ব্লকের ফ্লাড শেল্টারে একটি জরুরি সভা করা হয়। সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০দিনের কাজে লাগানোর জন্য ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। জবকার্ড থাকা শ্রমিকরা অনায়াসে কাজ করতে পারবেন বলে জানানো হয়। জবকার্ড না থাকলে আবেদনের প্রেক্ষিতে জবকার্ড তৈরি করে কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সভায়।
এরপরই কান্দির বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিলি শুরু হয়েছে। লিফলেটে লেখা হয়েছে, ‘ঘরের ছেলে ঘরেই থাকুক। গ্রামেই কাজ করুক’।
এব্যাপারে কান্দির বিডিও নীলাঞ্জন মণ্ডল বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ১০০দিনের কাজ দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছিল। সেইমতো আমরা বিভিন্ন গ্রামে লিফলেট বিলি ও মাইকিং করে শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করেছি। শ্রমিকরা কাজ পাওয়ার জন্য যাতে জবকার্ড পেতে পারে, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কান্দি ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি ছোট ছোট ১০০দিনের কাজের প্রকল্প তৈরি করেছে। সেই কাজেই শ্রমিকদের লাগানো হবে। কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, আমরা বিভিন্ন পঞ্চায়েতে শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার কাজ শুরু করেছি। এছাড়া বহু বাসিন্দা ১০০দিনের কাজের ছোট স্কিম আমাদের কাছে ও পঞ্চায়েতগুলিতে জমা দিচ্ছেন। আমরা চাই রাজ্য সরকারের সদিচ্ছামতো এখানকার শ্রমিকরা এখানেই কাজ করুক।
তবে অল্প মজুরির জন্য অনেক শ্রমিক ১০০দিনের কাজে অনীহা দেখাচ্ছেন। শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবি করছেন। শ্রমিকরা বলেন, ভিনরাজ্যে কাজ করে দিনে ৫০০-৭০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করা যায়। এখানেও তাই মজুরি বাড়ালে ভালো হয়।