কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
পুলিস কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, লকডাউনে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতেই আমরা প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজারের বেশি মানুষকে খাবার ও খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছি। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে কাজ হারানো পরিবারের সবাই এই তালিকায় রয়েছেন। এর জেরে অনেক বেশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এলাকার খবর অনেক দ্রুত আমাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এতে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সুবিধা দেবে।
আসানসোল মহকুমার বরাকর থেকে গলসি ব্লকের বুদবুদ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ শিল্পাঞ্চল এলাকার গুরুত্ব রাজ্যের কাছে অপরিসীম। সরকারি, বেসরকারি বহু ছোট বড় কারখানার যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে বিশাল কয়লা খনি অঞ্চল। রয়েছে অজয় দামোদরের চরে গজিয়ে ওঠা অজস্র বালিঘাট। বরাকরের পরেই আবার ভিন রাজ্যের সীমানা। অপরাধ জগতের সব উপাদানই মজুত রয়েছে এই এলাকায়। তাই এই এলাকার অপরাধ দমনের উদ্দেশেই মুখ্যমন্ত্রী গড়ে তোলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেট। তারপরেও যে অপরাধ বন্ধ হয়েছে তা নয়। চিনাকুড়ি থেকে বার্নপুর রেলপাড় থেকে অণ্ডাল সর্বত্রই ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু লকডাউনের জেরে অপরাধীরাও সক্রিয় হতে পারছে না। আর এই সুযোগেই পুলিস অপরাধ জগতে সিঁধ কাটছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক মধুর করে বন্ধু পুলিসের তকমা জুটছে তাদের। যার জেরে সাধারণ মানুষ ভরসা করে অনেক খবরই দিচ্ছেন পুলিস কর্তাদের কাছে। তবে সোর্স তৈরি নয়, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতেই পুলিস অনেক বেশি সচেষ্ট বলে তাদের দাবি। তাই ভিন রাজ্যের মানুষ যখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে আটকে পড়েছিলেন, তাঁদেরও দেওয়া হয়েছে খাবার। এসিপি ইস্ট স্বপন দত্তর উপস্থিতিতে দুর্গাপুরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা লোকজনদের গামছা, লুঙ্গি, চটিও দিয়েছে পুলিস। এর পাশাপাশি বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় আসা মানুষেরও মুখের সামনেও অন্ন বা শুকনো খাবার তুলে দিচ্ছে এই পুলিসবাহিনী। তবে তারই মাঝে অপরাধ জগতের প্রভাব থাকা এলাকাতেও ব্যাপকভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজ চলছে। অসময়ে অপরাধ জগতেও কার্যত লকডাউন। তাই অনেক অপরাধীও চুপিসারে ত্রাণ নিচ্ছে। অনেকে আবার পুলিসের হাত ধরে সমাজের মূলস্রোতে ফেরারও চেষ্টা করছে। সামগ্রিকভাবে এই লকডাউন নীরবে পুলিসের এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ অনেকটা বাড়িয়ে দিল। কারণ একটা সময় যারা পুলিসের সমালোচনায় মুখর ছিল, তারাই এখন পুলিসের মানবিক কাজের প্রশংসা করছে।
ডিসি(পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সাহায্য করার উদ্দেশেই এটি শুরু করি। তবে দেখতে পাচ্ছি মানুষের যেমন আমাদের প্রতি আস্থা বাড়ছে, তেমনই অনেক অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই আমাদের কাছে খবর পৌঁছে যাচ্ছে।