কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
বীরভূম জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮। যার মধ্যে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলাতেই ১০জন। যদিও এই জেলার চারজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্তের অধিকাংশই সংক্রামিত ভিনরাজ্য ও জেলা থেকে ফেরা। কারও কোনও উপসর্গ ছিল না। এঁদের মধ্যে কেউ পরিযায়ী শ্রমিক, কেউবা চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েছিলেন। প্রায় নিত্যদিনই রেল ও সড়কপথে পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্যরা আসছেন। ফলে, গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন এলাকার মানুষ থেকে স্বাস্থ্যকর্তারা। এদিকে ভিনরাজ্য ও জেলা থেকে ফেরা মানুষের হোম কোয়ারেন্টাইন সুনিশ্চিত করেছে প্রশাসন। তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কলকতার নাইসেডে পাঠানো অব্যাহত রয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত ২৯৫৯জনের লালারস সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর মধ্যে প্রায় ১৫০০জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট অমীমাংসিত রয়েছে। ফলে, প্রাথমিক স্বস্তি মিললেও উদ্বেগ কাটেনি স্বাস্থ্যকর্তাদের।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদের অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। বিভিন্ন ব্লক হাসপাতাল ও তারাপীঠ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে সকলের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল।
নলহাটি-২ ব্লকের একই গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা আক্রান্তের ঘটনায় আতঙ্কিত রয়েছেন এলাকার মানুষ। এলাকাটিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা পরিবার ও গ্রামের মানুষের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও তাঁদের রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম। ডেপুটি সিএমওএইচ-১ অমিতাভ সাহা বলেন, নলহাটির ওই গ্রামের আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা প্রায় ৭০জনের লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্ট আসেনি।
এদিকে জেলায় যেভাবে ভিনরাজ্য ও জেলা থেকে মানুষ ফিরতে শুরু করেছেন তাতে চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। কারণ, এখন উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। তাই প্রশাসনিক নির্দেশ, জেলায় ফেরা মানুষকে বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তবে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত থেকে যাঁরা ফিরছেন তাঁদের ১০০শতাংশের সোয়াব সংগ্রহ করে তবেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম পালন করছেন কি না তা দেখার জন্য পুলিস-প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তরের লোকদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তাঁরা নজরদারি চালাবেন। রিপোর্ট আসার আগে কারও কোনও উপসর্গ দেখা দিলে তাঁকে রামপুরহাটের কোভিড সেন্টারের আইসোলেশনে রাখা হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে বোলপুর করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
অনেক শ্রমিক পরিবারে পৃথক ঘর না থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সমস্যা রয়েছে। তাঁদের কেউ প্রাইমারি স্কুলে, কেউবা খুব কষ্ট করেই রয়েছেন। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে পরিযায়ী শ্রমিক ঢুকছেন। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সকলের তো আর থাকার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। অত লোকের খাবার দেওয়াও সম্ভব নয়। তবে, তাঁরা যাতে আলাদা করে থাকেন তার প্রতি নজর রাখা হচ্ছে।