কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, দাসপুরের আক্রান্ত তিনজনকে পূর্ব মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেশপুরের আক্রান্তদের আয়ুষ হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। পরে, তাঁদের পূর্ব মেদিনীপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানো হবে। আর গড়বেতা-৩ ব্লকের আক্রান্ত কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। সকলের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলা হয়েছে। পাঁচদিন পর সকলের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে। নিয়ম মেনে ওই এলাকাগুলি কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশপুরের আক্রান্ত তিন পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি ঝেটা জামবনী, চাথলা এবং রাউতা গ্রামে। তাঁরা প্রত্যেকেই মুম্বইয়ে কাজ করতেন। গত ১৮ তারিখ তাঁরা মুম্বই থেকে ট্রেনে করে খড়্গপুর আসেন। পরে, প্রশাসনের দেওয়া বাসেই তাঁরা বাড়ি ফিরেছিলেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ মেনে হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁরা নমুনা দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। বুধবার রাতেই তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ বলেন, বিষয়টি জানার পরই তিনটি গ্রাম সিল করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাগুলি কন্টেনইমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, দাসপুর-১ ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কামালডিহি গ্রামে দুই মহিলা সহ তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁর বউদি রয়েছে। আর একজন প্রতিবেশী মহিলা রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে দিল্লিতে থাকেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কাজল সামন্ত বলেন, গত ১৪মে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তাঁরাও ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেসে হিজলি স্টেশনে নেমেছিলেন। পরে, সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। এদিন বিষয়টি জানা যায়। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিবারের সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, গড়বেতা-৩ ব্লকের গোবিন্দচক গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার রাতেই জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে তাঁর করোনা পজিটিভ হওয়ার রিপোর্ট আসে। গড়বেতা-৩ ব্লকের বিডিও অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, গত ১৩ তারিখ বুকে যন্ত্রণা নিয়ে তাঁকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওই এলাকাটিকে কন্টেনইমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।