কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, সড়ক পথে কোনওরকম আগাম তথ্য ছাড়াই হাজার হাজার মানুষ আসছেন। রেলপথেও হাজারের বেশি মানুষ এসেছেন। কিন্তু কলকাতার পাশাপাশি ছ’টি জেলার যা অবস্থা তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঝুঁকি নিয়ে পাঠানো হয়নি। বেশ কিছু জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় তাঁদের এখানেই রাখা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারও হাজার হাজার মানুষ নতুন করে জেলায় ঢুকেছেন। তাঁদের ঠিক মতো খাবার দিয়ে রাখা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
বাংলার একেবারে পশ্চিম প্রান্তে থাকা ঝাড়খণ্ড ঘেঁষা পশ্চিম বর্ধমান দিয়েই রাজ্যের বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় ঢুকছেন। সেখান থেকেই তাঁদের বাসে করে নিজের জেলায় রওনা করানো হচ্ছে। করোনা মহামারীর জেরে প্রতিদিন চলতে থাকা এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞে এবার বাধ সেধেছে উম-পুন। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসানসোল, দুর্গাপুরে এসে থেমেছে ট্রেন। সেখান থেকে দুই মেদিনীপুর, হুগলি, নদীয়া সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাঁদের বাসে করে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল প্রশাসনের। কিন্তু উম-পুনের জেরে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একইভাবে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডিহি চেকপোস্ট দিয়ে সারা বাংলার লোক ঢুকছে। সেখান থেকে বাসে করে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা সহ সর্বত্র শ্রমিকদের পাঠানো হয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আসানসোলের ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া একটি বড় বেসরকারি স্কুলে, ইএসআই হাসপাতাল চত্বরের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে, আসানসোল ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁদের রাখা হয়।
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের যুব আবাস, ডিএসপির হস্টেল, দেউল পার্ক, কাঁকসার একটি আশ্রমে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিস-প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে দুর্যোগ উপেক্ষা করেই খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঘরের সামনে এসেও বাড়ি ফিরতে না পেরে অনেকেই অধৈর্য্য হয়ে পড়েন। তাঁদের বোঝাতেও দেখা যায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের। জেলাশাসকের দাবি, আমরা ১৮০০ জনকে রাখার ব্যবস্থা করেছিলাম। বুধবার সেই কাজ করার পরে বৃহস্পতিবার ফের সড়ক পথ ও রেলপথে অনবরত শ্রমিক আসায় চিন্তা বেড়েছে। এদিনও বেশ কিছু জেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় শ্রমিকদের পাঠানো যাবে না। তাই আরও চাপ বাড়ছে।
অন্যদিকে, যেভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের চাপ বাড়ছে তার জন্য বাড়তি বাসের ব্যবস্থা করতে জেলার দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভেন্দু বসু ও প্রশান্ত মণ্ডল এসবিএসটিসির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে চূড়ান্ত হয় ডুবুরডিহি চেকপোস্টের কাছে ৩০টি এবং আসানসোল ও দুর্গাপুর স্টেশনের জন্য প্রতিদিন ২০টি করে বাস দেওয়া থাকবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য।