সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জেলার প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক সানি মিশ্র বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ভোটের আগেই প্রকাশ করা হয়েছিল। ভোটের কারণে সেই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আগে দেখা হবে যোগ্য আবেদনকারীর সংখ্যা কত। এরপর যে সব স্কুলে পদ ফাঁকা আছে, সেখানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
প্রধান শিক্ষক না থাকায় দীর্ঘদিন স্কুল পরিচালনা করতে হচ্ছে সহকারি শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের। সেক্ষেত্রে সমস্যাও বাড়ছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় পরিচালনায় সমস্যার কথা জানিয়েছেন বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার এফপি স্কুলের সহকারি শিক্ষক গৌরাঙ্গ হালদার। তাঁর মন্তব্য, স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে পাঠদানে সমস্যা হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক থাকলে সেই অসুবিধা আর হবে না।
নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক শঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, জেলার বেশিরভাগ স্কুলে এখন প্রধান শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকহীন অবস্থায় চলছে। বার বার বোর্ডকে জানিয়েছি। আমাদের দাবি, সার্কেলের মধ্যে সিনিয়রিটি অনুযায়ী শিক্ষকদের ভালো স্কুলে পোস্টিং দেওয়া হোক। দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হলে আন্দোলনে নামব।
সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার আটটি ব্লকে ১৭ টি সার্কেল রয়েছে। যার মধ্যে ১০৭৯ টি প্রাথমিক স্কুল। সেগুলির ৭০ শতাংশে প্রধান শিক্ষকের পদ খালি। তাছাড়া জেলার বেশিরভাগ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের সমবন্টন নেই বলেও অভিযোগ উঠছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সংখ্যা একেবারেই কম। সেখানে শিক্ষকরা স্কুল পরিচালনা করতে গেলে পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে। আবার শহরে অনেক স্কুলে পড়ুয়ার অনুপাতে শিক্ষক প্রায় দ্বিগুণ। ফলে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করে সমবন্টনের দাবি জোরালো হচ্ছে।