সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সেচদপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অমরেশকুমার সিং বলেন, ভারী না হলেও ভুটান পাহাড়েও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। তবে আমরা ঝুঁকি নিতে চাইছি না। ভুটান থেকে জয়গাঁ শহরে বা স্থানীয় নদীগুলিতে ধস নামতেই পারে। সেই ধস সরাতে আর্থমুভার মেশিন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখনই এতটা উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা সতর্ক আছি।
জেডিএ’র চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, সেচদপ্তর ধস সরাতে আর্থমুভার মেশিন প্রস্তুত রেখেছে। জেডিএ’র পক্ষ থেকে ভুটানের ফুন্টশোলিং জেলা প্রশাসনকেও সীমান্তের ওপারে ধস সরাতে আর্থমুভার মেশিন নিয়ে প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ হয়েছে। যাতে পরিস্থিতির সময় উভয় পক্ষই উপকৃত হয়।
গত বছর বর্ষার সময় ভুটান পাহাড়ের হড়পা বানে ও ধসে ঢেকে গিয়েছিল তড়িবাড়ি, খোকলাবস্তি, খারখোলা সহ সীমান্ত শহর জয়গাঁর রাস্তাঘাট। ধসের জেরে জয়গাঁ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভুটানের ধসে ভরাট হয়ে গিয়েছিল জয়গাঁর হাইড্র্যান্ট, স্থানীয় গোবরজ্যোতি, যোগীখোলা ও হাসিমারাঝোরা সহ একাধিক নদী। হড়পা বানে ভুটানের ডলোমাইট ও কাদা মাটি গড়িয়ে এসে এই বিপর্যয় ঘটায়। গত বছরের এই আতঙ্ক এখনও তাড়া করে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের।
কিন্তু ভুটানের ধসের মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় জেডিএতে ন্যূনতম কোনও পরিকাঠামোই নেই। তাই গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রশাসন আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে। সেই সতর্কতা থেকেই সেচদপ্তর আর্থমুভার মেশিন ভাড়া নিয়ে প্রস্তুতিপর্ব নিয়েছে। যাতে বিপর্যয় এলে দ্রুত সামাল দেওয়া যায়।
সেচদপ্তর জানিয়েছে, ধস সরাতে দু’টি আর্থমুভার মেশিন আপাতত গোবরজ্যোতি ও যোগীখোলা নদীতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ধস সরাতে আরও একটি মেশিন ভাড়া নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।