সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তদের জুয়া খেলতে দেখে কালীপদবাবু প্রতিবাদ করেছিলেন। তাতেই শুরু হয় বচসা। অভিযুক্তরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার পর চাকু দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে। চিৎকার শুনে এলাকার বাসিন্দা ও পরিবারের লোকেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হলে পরিবারের লোকেরা তাঁকে শিলিগুড়ির সেভক রোডের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনজেপি থানার পুলিস। শনিবার সকাল থেকেই এলাকায় বিশাল পুলিস বাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন করে অশান্তি না হলেও, গোটা এলাকা থমথমে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। তাই ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে চাইছেন না। স্থানীয়রা খুনের পিছনে চোরাই তেলের কারবার নিয়ে এলাকা দখলের লড়াই দেখছেন। অভিযোগ, কালীপদ রায় এনজেপিতে চোরাই তেলের কারবার নিয়ন্ত্রণ করতেন। অনেকদিন ধরেই অভিযুক্তরা এলাকার দখল নেওয়ার জন্য কালীপদ রায় ও তাঁর পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। মাঝেমধ্যে তাদের মধ্যে গণ্ডগোলও হয়েছে বলে অভিযোগ।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসি দীপক সরকার বলেন, এনজেপির খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার জয়দীপ নন্দী বলেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে। কারণ এখানে নানা ধরনের অনৈতিক কাজ চলে। সব মহল থেকে চেষ্টা করেও এখানকার এই সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না।
এদিকে, মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, কালীপদ রায় তেলের চোরাকারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে তাঁরা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে গোটা পরিবারকে খুন করার হুমকি দিয়ে আসছিল। বেশ কয়েকবার তাদের সঙ্গে গণ্ডগোলও হয়েছে।