হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেই চিকিৎসক। একজন মাত্র চিকিৎসক সামলাচ্ছেন বহির্বিভাগ। ফলে দেড় ঘণ্টা ধরে মৃতদেহ পড়ে রইল ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে।
সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: টিকাকরণের পর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীর শাস্তির দাবি তুললেন ধূপগুড়ির ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পাশাপাশি ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চাইছেন তারা। শনিবার এই দাবিতে পুরসভায় স্মারকলিপি দেন ওয়ার্ডের মহিলারা। পাশাপাশি, থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের সাবসেন্টার থেকে টিকাকরণ করিয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মাস দেড়েকের এক শিশু প্রাণ হারায়। টিকা নেওয়ার পর থেকেই বাপি ঘোষের মেয়ে তিথির বাঁ পা ফুলে যায়। অসহ্য যন্ত্রণাও হয়। শুক্রবার ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয়। মৃতার বাবা বলেন, টিকা নেওয়ার পরেই পা ফুলে যায়। পুরসভা থেকে বলা হয় পিসিভি-১ টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হেলথকার্ডে প্যান্টাভ্যালেন্ট-১ টিকা দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। মৃতের মা রূপালি ঘোষ বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীর ভুলের জন্যই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ধূপগুড়ি থানায় অস্বাভাবিক মামলাও রুজু হয়েছে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অরূপ দে বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতির ঘটনা রয়েছে কি না, সেই বৈঠকে খতিয়ে দেখা হবে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অরূপ দে বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে মঙ্গলবার এই বিষয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতির ঘটনা রয়েছে কি না, সেই বৈঠকে খতিয়ে দেখা হবে।
