গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ইটাহার থানার জয়হাটের রামনগর এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর বিয়ে হয় গাজোল থানার মাহিনগর গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে। ওই দম্পতির ছেলে পড়াশোনার জন্য কলকাতায় থাকেন। বাড়িতে স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন বধূ। তিনি গ্রামে বিভিন্ন ধর্মীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এসব কাজে তাঁর নামডাক ছিল এলাকায়। ফলে বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনার কাজে যোগ দিতে যেতেন তিনি। অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে ভাসুর সহ বেশ কয়েকজন আত্মীয় চক্রান্ত করে ওই বধূর নামে পরকীয়ার বদনাম ছড়াচ্ছিল। গত বুধবার ওই গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না এবং মেয়ে অন্য ঘরে ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই মহিলার সঙ্গে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বিষয়ে কথা বলতে তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তি বাড়িতে আসেন। অভিযুক্ত ভাসুর ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে পাড়ার লোকজন ডাকেন। এরপর তাঁকে অপমান করার পর বেধড়ক মারধর করেন ভাসুর। গাজোল থানায় ঘটনার অভিযোগ জানানো হলে অভিযুক্তরা ওই গৃহবধূকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আতঙ্কে বাপের বাড়ি চলে আসেন ওই বধূ। মঙ্গলবার রাতে বাবার বাড়ির গোয়ালঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বধূর দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবারের তরফে ইটাহার থানায় খবর দেওয়া হলে রাতেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যালের পুলিস মর্গে পাঠায়। ছেলে ও স্বামী বলেন, পরকীয়ার অপবাদ মেনে নিতে না পারায় এই আত্মহত্যা। অভিযুক্ত সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ইটাহার থানায় মৌখিক অভিযোগ জানান ছেলে। পরবর্তীতে গাজোল থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ইটাহার থানার পুলিস অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।