গৃহাদি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণপ্রাপ্তির যোগ আছে। কাজকর্মের স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। বাতের বৃদ্ধি। ... বিশদ
বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও পুরসভা নির্বাচনে মালদহে তৃণমূল সাফল্য পেলেও লোকসভায় জয়ের স্বাদ এখনও ঘাসফুল শিবির পায়নি। এবার জেলায় সেই খরা কাটতে চলেছে বলে শাসকদলের নেতারা মনে করছেন। যদিও কয়েকটি জায়গায় শাসকদলের একাংশের নিষ্ক্রিয়তা ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সামগ্রিকভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কাঁধে ভর করে তৃণমূল বাজিমাত করতে পারে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
প্রতিটি নির্বাচনের পরই শাসক দলের তরফে বুথভিত্তিক সম্ভাব্য ফলাফল পর্যালোচনা করা হয়। বুথ সভাপতিরা অঞ্চল বা গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে রিপোর্ট পাঠিয়ে থাকেন। অঞ্চল সভাপতিরা ব্লক নেতৃত্বের কাছে এব্যাপারে রিপোর্ট জমা দেন। ব্লক সভাপতিরা জেলা নেতৃত্বকে তা পাঠিয়েও দেন। বিধায়করাও অনেক সময় পৃথক রিপোর্ট তৈরি করেন। তবে তা মূলত বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক হয়ে থাকে। একটি বিধানসভা এলাকায় একাধিক ব্লক থাকে। ওই রিপোর্টে বৃহত্তর এলাকার ফলাফলের ব্যাপারে আগাম আঁচ পাওয়া যায় বলেই তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন।
জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দলীয় নেতৃত্বের পাঠানো রিপোর্টের সঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফলের সামান্য হেরফের ঘটে। তবে তার আমূল পরিবর্তন হয় না। এবার আমরা অতীতের লোকসভা নির্বাচনগুলির তুলনায় জেলায় ভালো ফল করব বলেই মনে হচ্ছে। কয়েকজন নেতানেত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি আমরা জানি। তবে তা সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলবে না। জেলাবাসী রাজ্য সরকারের উন্নয়ন ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ভোট দিয়েছে। তৃণমূল সমর্থকদের কাছে ঘাসফুল প্রতীকটাই আসল। কে কী করলেন বা বললেন, তাতে কিছু যায় আসে না।