বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত বাউড়িয়া বস্তি। এই এলাকায় বালাসন নদীর ভাঙন সমস্যা দীর্ঘদিনের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর ধরে এখানে পাড় ভাঙছে বালাসন নদীর। মঙ্গলবার রাতে এখানে নদীর ভাঙন বিধ্বংসী হয়ে ওঠে। প্রায় ৭০০ মিটার এলাকাজুড়ে পাড় ভাঙতে শুরু করে নদী। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নদী বিশাল এলাকা গ্রাস করেছে। এদিকে, আর ১০ মিটার এলাকা ভাঙলেই বসতি এলাকায় থাবা বসাবে নদী। ফলে এখানকার রাস্তা, বসতভিটা, পানীয় জলের কল প্রভৃতি বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীরা বলেন, এখানে ২০০টি বাড়ি আছে। ফের নদী ভাঙন শুরু হলে চরম বেকায়দায় পড়তে হবে। তাই রাত জেগে নদীর গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখছি। পাশাপাশি আসবাবপত্র, জামাকাপড় সহ গুরুত্বপূর্ণ নথি গুছিয়ে রাখা হয়েছে। বসতি এলাকায় নদী ছোবল বসালেই নিরাপদ স্থানে যাব।
আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ পাল বলেন, সেচ দপ্তর এলাকা পরিদর্শন করেছে। পঞ্চায়েতের কর্মীরা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছেন। বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত করে রাখা হয়েছে। তবে নদীতে স্রোত থাকায় এখন পাড় বাঁধানো সম্ভব নয়। স্রোত কমার পর জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজে হাত দেওয়া হবে।
মাটিগাড়ার বিডিও রুনু রায় বলেন, নতুন করে পরিস্থিতি খারাপ না হলেও প্রশাসন সতর্ক। আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন এলাকাটি পরিদর্শন করা হয়। সেচ দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এখন প্রশাসন যা নির্দেশ দেবে, সেইমতো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মহানন্দা সহ বিভিন্ন নদীর জল নামার পরও শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামের কয়েকটি এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক হয়নি। শহরের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিবনগরে এখনও রাস্তায় কাদা, জল রয়েছে। মাটিগাড়া ও নকশালবাড়ির কিছু নিচু এলাকায় জমে রয়েছে জল। ত্রাণও মেলেনি বলে অভিযোগ দুর্গত বাসিন্দাদের একাংশের।
তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি (সমতল) রঞ্জন সরকার বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির দুর্গত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বণ্টন করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকাগুলি সাফাইয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নদীর জলস্তর নামার পাশাপাশি বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমেছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় মহকুমায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৬.৬০ মিলিমিটার। মহানন্দা নদীর জলস্তরের উচ্চতা ১১৪.২০০ মিটার যা বিপদসীমার অনেক নীচে। প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, বৃষ্টির দাপট ও নদীর জল কমায় এলাকাগুলির পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার কাজ চলছে।