বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক রমিত দে বলেন, করোনা ও লকডাউনের জন্য জেলাজুড়ে রক্ত সঙ্কট চলছে। চলতি মাসের ১৯ জুলাইয়ের পর থেকে পরপর বেশ কয়েকটি রক্তদান শিবির বাতিল হয়েছে। তার ফলে রক্তের আকাল আরও বাড়ছে। তবে আগামী শনিবার থেকে রক্তদান শিবির আবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তা হলে হয়ত স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় কেউ যদি ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে রক্তদান করতে চায়, তাহলে তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি।
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সম্পাদিকা সর্বানী নিয়োগী বলেন, লকডাউনের জেরে ও করোনা পরিস্থিতির জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজনে ভাঁটা পড়েছে। আমরা প্রত্যেকটি শহরের ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের কাছে আবেদন করছি, যাতে তাঁরা নিজে থেকে এগিয়ে এসে রক্তদান করেন। আমরা প্রয়োজন হলে রক্ত সংগ্রহের মোবাইল ভ্যান নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাব। বাড়ি থেকে রক্ত সংগ্রহ করব।
এবিষয়ে আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, দক্ষিণ দিনাজপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সুনীল সরকার বলেন, আমরা মূলত থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সমস্যার কথা ভেবেই উদ্বেগে রয়েছি। ওই রোগীদের নিয়মিত রক্তের প্রয়োজন হয়। তাদের সমস্যা দূর করতে আমরা মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে শিবির করব।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। সেই রক্তের মধ্যে ১০-১২ ইউনিট লাগে কেবল থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্যই। বাকি রক্ত অন্যান্য রোগী বা দুর্ঘটনাগ্রস্তদের দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের জোগান একেবারেই নেই। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ পজেটিভ তিন ইউনিট, এ নেগেটিভ তিন ইউনিট, বি পজেটিভ ১১ ইউনিট, এবি পজিটিভ ৯ ইউনিট এবং ও পজেটিভ এক ইউনিট রয়েছে। ও নেগেটিভ, বি নেগেটিভ ও এবি নেগেটিভ রক্তের ভাঁড়ার শূন্য। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ১৩ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত দেওয়ার তারিখ রয়েছে। কিভাবে রক্ত সঙ্কট মেটানো যাবে তা নিয়ে চিন্তিত ব্লাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসকরা।
একজন থ্যালাসেমিয়া রোগী বলেন, শুক্রবার আমার রক্ত নেওয়ার তারিখ রয়েছে। শুনেছি বালুরঘাটে রক্ত সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাতে খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নিতে আসা বিধান দেবনাথ বলেন, আমার বাবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। রক্তের প্রয়োজন ছিল। কার্ড নিয়েও এসেছিলাম। কিন্তু রক্ত পাইনি। খুব সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে অনেক কষ্টে একজন ব্লাড ডোনারকে জোগাড় করে নিয়ে এসে বাবাকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন, ক্লাব এবং সরকারিভাবেও রক্তদান শিবির করা হয়। কিন্তু করোনা আবহে সেসব প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আনলক পর্যায়ে দু’একটি রক্তদান শিবির করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বালুরঘাট সদরের ডিএসপি ধীমান মিত্র বলেন, এখন রক্ত সঙ্কটের কারণে পুলিসের তরফে রক্তদাতার সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না, সে বিষয়টি দেখব।