কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
গৌতমবাবু বলেন, ছেলেটি আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। নিয়মিত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজে জয়েন করেছিল। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হয়। যেকাজ করতে বলতাম ও সেটাই করার চেষ্টা করত। সম্প্রতি ওর মধ্যে আমি কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করছিলাম। কিছু কথা বললে অন্যমনস্ক দেখাত। আমি খুব আশ্চর্য ওর এমন পরিণতিতে। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
মেয়র বলেন, ছেলেটি মিশুকে। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতাও ছিল। কী করে এমনটা হল ভাবতেই পারছি না। আমরা শোকাহত। সক্রিয় একজন ইঞ্জিনিয়ারকে হারিয়ে আমাদের ক্ষতি হল। পুলিস সবটা দেখছে। ওঁর পরিবারের প্রতি শোক জানাই। রঞ্জনবাবু বলেন, ঘটনা দুঃখজনক। আমরা একজন দক্ষ অফিসারকে হারালাম।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, পরিবারের লোকেরা বা অন্য কেউ কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। আমরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
ওই ইঞ্জিনিয়ার সুভাষপল্লিতে বাড়ি বানাচ্ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও শিলিগুড়ি থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন অফিস যাওয়ার আগে শ্বশুরবাড়ি বাঘাযতীন পার্ক চত্বর থেকে সাড়ে ১০টা নাগাদ নির্মীয়মাণ বাড়িতে যান। সেখানেই তিনি তিনতলা থেকে পড়ে যান। স্থানীয়রাই মারাত্মক জখম অবস্থায় তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান। দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে একে একে হাসপাতালে চলে আসনে পুরসভার কর্মী আধিকারিকরা।
শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত দাবা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেশবন্ধুপাড়ায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ছিল তাঁর ছেলে। পরে পুরসভার কর্মীরাই তাঁর ছেলেকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন। মৃতের স্ত্রী রুবি দাস এনিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। মৃতের আত্মীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন তাঁর বছর এগারোর ছেলে এবং ১৬ বছরের মেয়ের জন্মদিন ছিল। জন্মদিনেই বাবার মৃত্যুর খবরে ছেলেমেয়েরা একেবারেই ভেঙে পড়ে। ইঞ্জিনিয়ারের অস্বাভাবিক এই মৃত্যুর পেছনে পারিবারিক কোনও অশান্তি কারণ হিসাবে ছিল কি না, তাও পুলিস খতিয়ে দেখছে।