কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, লোকসভা ভোটে হেরে তৃণমূল নেতাদের এখন দিশেহারা অবস্থা। সামনেই ভোট। তাই বিনে পয়সায় ফসলের আগাছা পরিষ্কারের আড়ালে শাসক দলের কৃষক সংগঠন কৃষকদের কাছে ভোট ভিক্ষা করছে। এসব নাটকবাজি করে তৃণমূলের আর কোনও ফায়দা হবে না।
কিষাণ খেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ রায় বলেন, অনেক প্রান্তিক কৃষক আছেন যাঁরা টাকার অভাবে সময়মতো খেতের আগাছা পরিষ্কার করতে পারেন না। তাঁদের সাহায্য করতেই দিদিকে বলো কর্মসূচির সঙ্গে আমরা আগাছা পরিষ্কার অভিযানে নেমেছি। সেখানে বিজেপি কী বলল না বলল কিছু যায় আসে না।
শাসক দলের কৃষক সেল সূত্রে খবর, জেলার ৬৬টি পঞ্চায়েত এলাকাতেই পর্যায়ক্রমে এই দিদিকে বলো কর্মসূচির সঙ্গে তাদের এই আগাছা পরিষ্কারের কাজ চলবে। এজন্য শাসক দলের কৃষক সেল সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে ২০টি দল তৈরি করেছে। এক একটি দলে ১৫ জন করে কর্মী-সমর্থককে রাখা হয়েছে। শনিবার ফালাকাটার দেওগাঁ পঞ্চায়েত দিয়ে দিদিকে বলো কর্মসূচির সঙ্গে এই শাসক দলের কৃষক সেলের এই আগাছা পরিষ্কার অভিযান শুরু হয়েছে। এদিন দেওগাঁ পঞ্চায়েতের উত্তর দেওগাঁ, দক্ষিণ দেওগাঁ, বেলতলি, ঝাড় বেলতলি, নবনগর ও ভাণ্ডানী এলাকায় শাসক দলের কৃষক সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা প্রান্তিক চাষিদের ২৫০ বিঘা রবি ফসলের আগাছা পরিষ্কার করে দিয়েছে। শনিবার এই আগাছা পরিষ্কার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দেওগাঁ অঞ্চল সভাপতি মানস বর্মন ও ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দলীয় উপপ্রধান গণেশ সুব্বা। এদিন দেওগাঁ পঞ্চায়েতের পর পাশের ময়রারডাঙা পঞ্চায়েতেও এই অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এদিন বিকাল পর্যন্ত ময়রারডাঙা পঞ্চায়েতে কত বিঘা আগাছা পরিষ্কার হয়েছে তা জানা যায়নি।
এদিন শাসক দলের কৃষক সংগঠনের নেতাদের হাতের কাছে পেয়ে কৃষকরা ভেজাল রাসায়নিক সার ও বীজ নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ উগরে দেন। খেত দেখতে কৃষিদপ্তরের কেপিএস’রা গ্রামে আসছেন না বলেও শাসকদলের কৃষক সেলের নেতাদের কাছে নালিশ ঠুকেছেন চাষিরা। শাসক দলের কৃষক সেলের দিদিকে বলো কর্মসূচিতে চাষিরা তাদের সেচের সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎবাবু বলেন, কৃষকদের প্রত্যেককেই দিদিকে বলো’র ফোন নম্বরে তাদের এইসব সমস্যার কথা জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।