বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি দপ্তরের সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) প্রিয়নাথ দাস বলেন, জল্পেশ বাজারে এক সার ব্যবসায়ী সরকারি নিয়ম মেনে কারবার না চালানোয় শো-কজ করা হয়েছে। জেলায় রাসায়নিক সারের কোথাও ঘাটতি নেই। চাষিরা আধার কার্ড এনে পয়েন্ট অফ সেল মেশিনের সাহায্যে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার সংগ্রহ করতে পারেন। জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার মজুত রয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লক সার ও কৃষি উপকরণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সুব্রত ঘোষ বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে সমস্ত ব্যবসায়ী যাতে কারবার চালিয়ে যান সেটা আমাদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। তবে ইউরিয়ার পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় নির্ধারিত দরের চেয়ে বস্তাপিছু ১০ টাকা বেশি নিতে হয়। রাসায়নিক সারের সরবরাহে এবারে কোথাও ঘাটতি নেই। তবে চাষিরা অনেকেই আধার কার্ডের নম্বর দিয়ে সার কিনতে চান না। এনিয়ে সরকারি উদ্যোগে চাষিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
গত ডিসেম্বরে ছয় টাকা কেজি দরের ইউরিয়া সার ১০-১২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেসময় রাসায়নিক সারের সংকট চলতে থাকায় আলু চাষিরা বিপাকে পড়েন। চড়া দরে সার কিনে বহু চাষি আলুতে চাপান দিতে বাধ্য হন। সরকারি নিয়মে নির্ধারিত দরে রাসায়নিক সার বিক্রি করার নিয়ম। অনেক খুচরো বিক্রেতার কাছে মূলত ইউরিয়া সার মজুত না থাকায় সার বিক্রি করতে পারেননি। খুচরো বিক্রেতারা অনেক সময় চড়া দামে সার কিনে এনে গ্রাহকদের চাহিদা মিটিয়েছেন। সরকারি অনুদানে সার পেতে চাষিদের আধার কার্ড নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট মেশিনের সাহায্যে ক্রয় করার নিয়ম থাকলেও অনেক চাষি সে পথে না হাঁটায় একাংশ ব্যবসায়ী খেয়ালখুশি দরে রাসায়নিক সার বিক্রি করেন। অনেক সময় ব্যবসায়ীদের একাংশ ওই মেশিন ব্যবহার করতে আগ্রহ দেখান না। কারণ ওই মেশিনে বিল করলে চাষি সারের সঠিক দামটাও তৎক্ষণাৎ জেনে যাবেন। আমনের মরশুমে বিপুল পরিমাণ সারের প্রয়োজন হবে। তাই ওই মরশুমে যাতে কোনও ব্যবসায়ী সার নিয়ে কালোবাজারি করতে না পারেন সেজন্য এখন থেকেই সারের দোকানগুলিতে নজরদারি শুরু হয়েছে। জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনেকবার সার বিক্রেতাদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা ও বৈঠক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকে সরকারি নিয়ম মানছেন না। তাই যাঁরা নিয়ম মানছেন না তাঁদেরকে শো-কজের পাশাপাশি দোকন সিল করা সহ আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।