বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
রতুয়া-১ ব্লকের বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের লুৎফর রহমান বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েত সরকারি উদ্যোগে অনেক শৌচালয় তৈরি হয়েছে। কিছু এলাকায় কেউ কেউ শৌচালয় ব্যবহার না করে মাঠে-ঘাটে যাচ্ছেন। এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাচ্ছি যা যথেষ্ট অস্বস্তিকর। এই ঘটনা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। গ্রামবাসীরা যাতে শৌচালয়গুলি ব্যবহার করেন সেটি সুনিশ্চিত করতে আমরা প্রচার চালাব। ভোট প্রক্রিয়া মিটে গেলে পঞ্চায়েতজুড়ে কর্মসূচি নেওয়া হবে। রতুয়া-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব ঘোষ বলেন, ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ওডিএফ মুক্ত রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে তৈরি শৌচালয় অনেকেই ব্যবহার করছেন। কেউ যদি তা ব্যবহার না করেন তাহলে গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে আমরা মানুষকে সচেতন করব। পঞ্চায়েতগুলি নিজেরো এই উদ্যোগ নিয়ে তা অবশ্যই ভালো কাজ।
বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২টি সংসদ রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মিশন নির্মল বাংলা থেকে পঞ্চায়েতজুড়ে তিন হাজারের বেশি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরোপুরি ওডিএফ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ওডিএফ ঘোষণা হলেও গ্রামবাসীরা শৌচালয় ব্যবহার না করেই বিভিন্ন সময়ে মাঠে-ঘাটে যাচ্ছেন। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দারকটোলা, গঙ্গারামটোলা, মানিকনগর, হাটপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে বাসিন্দাদের একাংশ শৌচালয় ব্যবহারে অনীহা প্রকাশ করছেন। পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সমস্যা স্বীকার করে জানিয়েছে এনিয়ে আরও সচেতনতা প্রয়োজন।
গ্রাম পঞ্চায়েত জানিয়েছে, শৌচালয় ব্যবহার করলে কী সুবিধা, কী অসুবিধা হবে সে বিষয়ে পঞ্চায়েত কর্মীরা গ্রামবাসীদের বোঝাবেন। এছাড়াও শুধু বিলাইমারি নয়, ব্লকের কাহালা, বাহারাল, ভাদো, চাঁদমণি সহ ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতে কমবেশি শৌচালয় ব্যবহার না করা নিয়ে অভিযোগ উঠছে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে গ্রামবাসীদের সচেতন করতে ব্লক প্রশাসন ভোটের পর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।