বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রোজিনা টুডু বলেন, কৃষকদের সমস্যা নিয়ে বিজেপি, তৃণমূল কোনওদিন ভাবেনি। হবিবপুর ব্লক বিজেপির দখলে রয়েছে। জেলা রয়েছে তৃণমূলের দখলে। তা সত্ত্বেও এখানকার কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত। আমরা এনিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছি, ওরা কিছু করবে না। কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয়েল মুর্মু বলেন, বৃষ্টি অভাবে জমির পর জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এক পয়সা ক্ষতিপূরণ কেউ পায়নি। আমরা কৃষকদের সমস্যা এবং দাবিগুলি নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছি। তারা জানে বিজেপিই তাদের একমাত্র বন্ধু হতে পারে। হবিবপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের সিপিএমের প্রার্থী সাধু টুডু বলেন, বামেরাই কৃষকের বন্ধু। পালাবদলের পর রাজ্যের কৃষকরা সেটা ভালোভাবেই বুঝেছেন। গতবার খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা আজও ক্ষতিপূরণ পাননি। তাঁরা আমাদের সঙ্গেই আছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত শর্মা বলেন, তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কৃষকদের নানারকম সুবিধা দিয়েছে। বৃষ্টি কম হওয়ায় ধান চাষে সমস্যা হয়েছিল। সেবিষয়ে সরকারের নজর রয়েছে। এনিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করলেও কৃষক বন্ধুরা তাদের কথা কানে দেবেন না।
মালদহের হবিবপুর ব্লক রাঢ় বাংলার মতো বরিন্দ এলাকা হওয়ায় চাষবাস অনেকটাই বৃষ্টি উপর নির্ভর করে। ২০১৮ সালের জুন-জুলাই মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সেবার ব্লকজুড়ে ধান চাষে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেচসেবিত জমি ছাড়া বাকি ধানের জমিতে চাষ মার খেয়ে যায়। কৃষি দপ্তরের রিপোর্ট বলছে ২৩ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা খরা ঘোষণা করে ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেও সে দাবি পূরণ হয়নি। ফলে এবার এই ইস্যুকে বিধানসভা উপনির্বাচনে অন্যতম হাতিয়ার করে বিরোধী দলগুলি ভোট প্রচার করছে। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও কৃষকদের বিভিন্ন বিমা, আর্থিক সহায়তা, চাষবাসের বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান সহ সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে ভোট প্রচার করছে। ক্ষতিপূরণ ইস্যুতে ডান-বাম দুই শিবিরই কৃষকদের মন পেতে মাঠে নেমে পড়েছে।