কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
এদিকে বৃষ্টির জেরে কেরলের অবস্থাও সঙ্কটময়। তবে রবিবার দুপুর ১২টা থেকে কোচি বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবা চালু হবে বলে শনিবার জানানো হয়। কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তরফে এদিন জানানো হয়, ‘বিমানবন্দর প্রস্তুত। উড়ান পরিষেবা আগামীকাল দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে। ঘোষিত ডেডলাইন এগিয়ে আনা হয়েছে। সেইমতোই পরিষেবা চালু করার জন্য এয়ারলাইন্সগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, বিমানবন্দরে জমে থাকা জল অনেকটাই নেমে গিয়েছে। বিমানবন্দর পরিষ্কার করার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।’ এদিকে কেরলে যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলে দক্ষিণ রেলওয়ের তরফে এদিন জানানো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় দিনের জন্য শনিবারও পালাক্কাড় এবং ত্রিবান্দ্রম শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এদিন ১৫টি ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এদিন দক্ষিণ রেলওয়ের তরফে এর্নাকুলাম-চেন্নাই, চেন্নাই-কোল্লাম এবং বেঙ্গালুরু-কোল্লাম রুটে রেল পরিষেবা চালুর ঘোষণা করা হয়েছে। গত কয়েকদিন বৃষ্টিতে কেরলে নানা দুর্ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবং প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন বলে খবর।
এদিকে মহারাষ্ট্রের বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় শিরডির শ্রী সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট (এসএসটি)-এর তরফে ১০ কোটি টাকা সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাংলি, কোলাপুর এবং সাতারা জেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যা পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে। এছাড়া পুনে এবং সোলাপুরের নানা জায়গাও বৃষ্টির জেরে প্রভাবিত বলে জানা গিয়েছে। এসএসটির চেয়ারপার্সন সুরেশ হাওয়ারে এদিন জানান, ‘বন্যা কবলিত মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এছাড়া গুজরাতে তুমুল বৃষ্টিতে বাড়ি ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় আরও পাঁচজন জখম হন। খেদার পুলিস সুপার দিব্যা মিশ্র বলেন, শুক্রবার রাতে খেদা জেলার প্রগতি নগর এলাকায় গুজরাত হাউজিং বোর্ড নির্মিত ওই বহুতল ধসে পড়ে। এর জেরে ন’জন চাপা পড়েন। তাঁদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে টানা এক সপ্তাহ বৃষ্টির পর শনিবার থেকে বৃষ্টি কমেছে। এদিন থেকে মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে।