উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনকে কেন্দ্র করে ভোট যুদ্ধের প্রথম দিন থেকেই চর্চা চলছে বিস্তর। কোন আসনে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে— এই নিয়ে আলোচনা চলেছে সর্বত্র। ১৯ এপ্রিল থেকে লোকসভার ভোট শুরু হয়। ২৫ মে শেষ হয়েছে ষষ্ঠ দফার ভোট। এই ছ’দফায় ভোট হয়েছে ৩৩টি আসনে। বিজেপির তাবড় নেতারা দাবি করেছে, বাংলায় তাদের ফল খুব ভালো হচ্ছে। কিন্তু ভোটগ্রহণের সাধারণ মানুষের অভিব্যক্তি ও দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট নিয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল। মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গতবার তৃণমূল জয়ী হয়েছিল ২২টি লোকসভা আসনে। এবার আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম, আমাদের ফল আগেরবারের থেকে ভালো হবে। খুব খারাপ হলে কিংবা পৃথিবী রসাতলে গেলে ২৩ হবে। কিন্তু আমরা সকলকে প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিচ্ছি, ছয় দফায় ২৩ আসন পার করে দিয়েছি। ৪ তারিখ ভোটের ফল প্রকাশের দিন তা মিলিয়ে নেবেন।
আগামী ১ জুন সপ্তম দফার ভোট। ওই দিন ভোট হবে দমদমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারহারবার, যাদবপুর, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ আসনে। এই ন’টি আসন গতবার তৃণমূল জিতেছিল। এবারও তৃণমূল আশাবাদী, এই আসনগুলিতে ফল ভালো হবেই। অভিষেকের আত্মবিশ্বাসী সুর, ২৩ আসন আগেই হয়ে গিয়েছে। বাকি নয় আসনেও ভালো হবে। ফলে তৃণমূল আশা করছে, ৩০ আসন তারা পার করে ফেলবে। এখন বিজেপির আসন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই দেখার!
এদিন বিষ্ণুপুরে জনসভা ও ডায়মন্ডহারবারে কার্যত ‘ঐতিহাসিক’ রোড শো করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকার উন্নয়নে তিনি কী কী কাজ করেছেন, তা জনসমক্ষে তুলে ধরেন ডায়মন্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ। তাঁর বক্তব্য, আমি আমার সাধ্যমতো ডায়মন্ডহারবারের উন্নয়ন করেছি। কিন্তু বিজেপির কোনও মন্ত্রী ডায়মন্ডহারবারের একটি বুথে এসেও সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। মানুষের বিপদে কোনওদিন বিজেপি নেতাদের দেখা যায় না। বিপদ হোক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আপনার ঘরের পাশে এসে দাঁড়ায় বহিরাগতরা নয়। নরেন্দ্র মোদিই হোক বা অমিত শাহ, বিজেপি নেতাদের ‘বহিরাগত’ তকমা দিয়ে অভিষেক বলেছেন, ওরা ভোটের সময় আসে, ভোট ফুরোলে টাটা বাই বাই।