উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
এদিন রাজ্যে এসে দু’টি জনসভা এবং একটি পদযাত্রাও করেছেন মোদি। নেতাজির জন্মদিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেননি ঠিকই, বাঙালি আবেগ টানতে মূর্তিতে মালাটা দিয়েছেন। তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অনুন্নয়নের দাবিই প্রাধান্য পেয়েছে তাঁর ভাষণে। আর এই ‘মিথ্যাচারে’র বিরুদ্ধেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মমতা। বাংলাকে লাগাতার বঞ্চনা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে কেন জবাব দেবেন না মোদি? এই প্রশ্ন বারবার তুলেছেন অগ্নিকন্যা। তাঁর আক্রমণ, ‘নির্বাচন ছাড়া ওঁর বাংলার কথা মনে পড়ে না। লুটেরাদের দল। বাংলার টাকা আটকে রেখে এখন মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন! দেশটাকে কারাগার বানিয়ে দিয়ে এখন বাংলার কুৎসা করতে এসেছেন! মনে রাখবেন, রাজ্যে আমরা যা কাজ করেছি, তা আপনি স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না। আমার এখন শুধু একটাই কাজ বাকি—বিজেপিকে হটানো।’
বেকারত্ব ইস্যুতে মমতার চূড়ান্ত কটাক্ষ, ‘দেখছেন তো, ওঁর আমলে আইআইটির ছেলেমেয়েরাও চাকরি পাচ্ছে না।’ তবে শ্লেষের চরম সীমায় মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছেন তারপর। মোদি নিজেকে ‘ভগবানের সন্তান’ বলে দাবি করায় তাঁর কটাক্ষ, ‘ওঁর মিথ্যাচারের ঠেলায় প্রধানমন্ত্রী পদটাই আজ কলঙ্কিত। উনি চেয়ার ছেড়ে এখন মন্দিরে গিয়ে বসলেই পারেন। দেশের এমন প্রধানমন্ত্রীর দরকার নেই। দেশের মানুষই আপনাকে আর ওই আসনে চায় না।’ কেন? মমতার বক্তব্য, ‘মোদি ফিরলে দেশে আর নির্বাচন হবে না। রাজ্যগুলির আর কোনও অধিকার থাকবে না। মানুষের কথা বলার অধিকারও চলে যাবে।’ দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ করায় মোদির লাঞ্চের খরচ নিয়েও খোঁচা দেন মমতা। বলেন, ‘আমরা যে ব্যাঙের ছাতা (মাশরুম) খাই, তার দাম মাত্র এক টাকা। আর ওঁর জন্য তাইওয়ান থেকে আনা ব্যাঙের ছাতার জন্য খরচ হয় ৮০ হাজার টাকা। আর লাঞ্চে খরচ হয় চার লক্ষ টাকা।’