উচ্চশিক্ষায় নামী স্বদেশি/ বিদেশি প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেতে পারেন। স্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ে চিন্তা। কর্মে অগ্রগতি। ... বিশদ
আওয়ামি লিগের এমপি খুনে তদন্তকারীদের ভরসা ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণও। তাই খুনের আগে এমপি’র সঙ্গে অভিযুক্তদের এবং খুনের পরে অভিযুক্তদের নিজেদের মধ্যে ফোনালাপের কল ডিটেইলস বের করা হয়েছে। ওই নথি আদালতে পেশ করে তুলে ধরা হবে সংশ্লিষ্ট সকলের কলকাতায় উপস্থিতির কথা। নিউটাউনের ওই অভিজাত আবাসনে যে এমপি ও অভিযুক্তরা সবাই ছিল, তা প্রমাণ করতে তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইলের ‘লোকেশন’ নেওয়া হয়েছে। অপরাধীরা আবাসন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেও, এমপি যে বের হননি, তা প্রমাণে ১৩মে থেকে টানা ১০দিন ওই আবাসনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে এমপি যে আবাসনে ঢুকেছিলেন, তার ফুটেজও এসেছে তদন্তকারীদের কাছে। তবে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো এবং চুলের নমুনা ডিএনএ পরীক্ষায় মিলে গেলে, এমপি খুনের মামলার তদন্ত নতুন গতি পাবে বলে মঙ্গলবার বাংলাদেশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন-উর -রশিদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে তিনজন পুলিস হেফাজতে রয়েছে, তাদের কাছ থেকে খুন সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে। সিআইডি হেফাজতে থাকা কসাই জিহাদকে জেরা করেও বহু বিষয় সামনে এসেছে।
বাংলাদেশ পুলিস তাদের হেফাজতে থাকা সৈয়দ আমানুল্লা ওরফে আমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, এমপির দেহাংশের কিছু অংশ কুচি কুচি করে ওই ফ্ল্যাটের ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করা হয়েছে। আনারের মাথা ফেলা হয়েছে শাসনে। জামকাপড় ফেলা হয়েছে রাজারহাট এলাকায়। হাতিশালার কাছ একটি খালে দেহাংশ ফেলা হয়েছে। এই তথ্য নিয়ে কলকাতায় আসে বাংলাদেশ পুলিসের টিম। মঙ্গলবার সিআইডির তদন্তকারী টিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিসের শীর্ষ কর্তারা ওই ফ্ল্যাটে যান। ভিতরে ঢুকে কমোড ও নিকাশি নালা ভালো করে পরীক্ষা করেন। কোথায় সেপটিক ট্যাঙ্ক রয়েছে তার খোঁজ নেন। বাংলাদেশের তদন্তকারী দলের তরফে সিআইডিকে অনুরোধ করা হয় নিকাশি নালা ভাঙতে। সেইমতো বিকেলে সেপটিক ট্যাঙ্কে লোক নামিয়ে তল্লাশি চালালে উদ্ধার হয় মাংস ও চুল। এই খুনের মামলার মূল ষড়যন্ত্রী আখতারুজ্জামান শাহিনকে নাগালে পেতে ইন্টারপোলের সাহায্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিস।