উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণেশ্বরের মে দিবস পল্লিতে কয়েক বছর আগে এসে উঠেছিল অপূর্বের পরিবার। তবে ব্যবসার কারণে, তাঁরা ভোর থেকেই চলে যেতেন আলমবাজারে। ফিরতেন রাতে। স্থানীয়দের সঙ্গে সেই অর্থে যোগাযোগ ছিল না। একতলার ঘরে একজন ভাড়াটে থাকতেন। বুধবার রাতে তাঁরাও কোনও আওয়াজ পাননি। মূল রাস্তার উপর বাড়ি ও চারপাশ জনবহুল হলেও ঘরের মধ্যে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটছে, টের পাননি কেউই। অপূর্বদের দোকানের পাশেই কবিতা সিংয়ের দোকান। বুধবার তাঁর সঙ্গেও কথা হয়েছিল অপূর্বর। এদিন তিনিও দৌড়ে এসেছিলেন ঘোষ বাড়িতে। তিনি বলেন, দোকানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাবা ও মায়ের সঙ্গে কাজ করত অপূর্ব। ক্রেতা না থাকলে আমরা সবাই গল্প করতাম। ওকে নিয়ে মজা-ঠাট্টাও করেছি। ও শুধু হাসতো। এত ভদ্র ছেলে দেখিনি। কারা, কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটাল, কিছুই বুঝতে পারছি না। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিন্দম ভৌমিক বলেন, আমরাও হতবাক হয়ে গিয়েছি। দু’-একটা আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটলেও কখনও খুনের ঘটনা ঘটেনি। এলাকাবাসী আতঙ্কে রয়েছেন। ওই বাড়ির সামনে অনেকেই বাইক রাখতেন। ঘরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটছে, কেউ দুঃস্বপ্নেও তা কল্পনা করেনি। অনেকে বলছেন, ঘরে বন্ধুরা বসে নেশা করছিল। সেখানেই ওই যুবককে খুন করা হয়। আমরা চাই সত্যি উদঘাটন হোক। অপূর্বর বাবা ও মাকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। ওঁরা অত্যন্ত সৎ ও ভদ্র। আমাদের অনুমান, পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের কঠোর সাজা চাই।