উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগুইআটিতে ভিআইপি রোডের ধারে এক প্রেক্ষাগৃহে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (এয়ারপোর্ট) ঐশ্বর্য সাগর, বাগুইআটির আইসি অমিতকুমার রায় সহ পুলিসের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বাগুইআটি, কেষ্টপুর এলাকার সমস্ত সোনার দোকানের মালিকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। কারণ, সোনার দোকানে ডাকাতির সঙ্গে ব্যাঙ্ক এবং এটিএমেও ডাকাতি হয়। তাই ব্যাঙ্কের জন্যও পৃথক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
সোনার দোকানের জন্য ৫০টি গাইডলাইন লিখিত আকারে দিয়েছে বাগুইআটি থানা। এর মধ্যে ডাকাতির আগে কী করণীয়, ডাকাতির সময় কী করণীয় এবং ডাকাতির পর কী করতে হবে, তা বিস্তারিত লিখে দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দোকানে সব সময় কমপক্ষে দু’-তিনজন কর্মী রাখতে হবে। সিসি ক্যামেরার নজরদারি সহ দ্বিতীয় জায়গায় স্টোরেজ বা ক্লাউড স্টোরেজ রাখতে হবে। যেহেতু ডাকাতরা সশস্ত্র অবস্থায় আসে, তাই ডাকাতির সময় দোকানের কর্মীদের এলার্ট করতে কোড ল্যাঙ্গুয়েজ চালু করতে হবে। এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে দোকানের ভিতর অংশ রাস্তা থেকে দেখা যায়। তাহলে ভিতরে কী হচ্ছে, বাইরের লোকজনও দেখতে পাবেন। তার জন্য কাচের দরজা বা শোকেসের গায়ে থাকা বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলতে হবে। একইসঙ্গে ডাকাতির সময় কর্মীদের সংঘাতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন কিছু দেখলে তা লগ বুকে লিখ রাখতে হবে। ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হয়েছে, সর্বদা ব্যাঙ্কে বন্দুকধারী নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে। প্রতিটি এটিএমকে সিসি ক্যামেরায় নজরবন্দি করতে হবে। সোনার দোকান এবং ব্যাঙ্কে জরুরি ফোন নম্বরগুলি সামনে লিখে রাখতে হবে। যাতে ঘটনার পর দ্রুত পুলিসকে খবর দেওয়া যায়।