উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামে প্রচুর পানের বরজ ছিল। অতীতে নদীর বাঁধ ভেঙে নোনা জলে প্লাবিত হয়ে সেই বরজগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এমনকী অতীতে এই গ্রামে প্রচুর সব্জি চাষ হতো। সেই চাষও এখন বন্ধের মুখে। নদী বাঁধ ভাঙনের কারণে এই এলাকার প্রচুর গাছও নদীতে তলিয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা সুরেশ মান্না বলেন, প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। ঘূর্ণিঝড় রেমালে বড় কোনও ক্ষতি না হলেও, প্রায় ৭০ ফুট নদী বাঁধে ফের ধস শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ওই নদী বাঁধে ধস হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দাদের। তিনি আরও বলেন, অতীতে আমাদের তিনটি বাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। নতুন করে আবার বাড়ি বানিয়েছি। প্রচুর চাষের জমিও নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। আর অল্প কিছু চাষের জমি বেঁচে রয়েছে। চাষবাস করে কোনও রকমে সংসার চলে যায়। এভাবে নদী বাঁধ ভাঙতে থাকলে আগামী দিনে বেঁচে থাকাই দুর্বিষহ হয়ে পড়বে। এখনই স্থায়ীভাবে নদী বাঁধ মেরামত করা না হলে, আগামী দিনে পুরো গ্রামটাই নদীতে তলিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, ওই জায়গাটায় নদীর স্রোত প্রবল। এছাড়াও ওই এলাকা দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ যাওয়ার কারণে, ঢেউয়ের আঘাতে নদী বাঁধে ধস নামছে। তবে বিষয়টিতে আমাদের নজর রয়েছে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে ওই এলাকায় স্থায়ীভাবে নদী বাঁধ তৈরি করা যায়।