উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বৈদ্যবাটির ভাড়া বাড়িতে গিয়ে পুলিস একপ্রস্থ তদন্ত করেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক স্থানীয় যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। মৃতের বোন মৌমিতা শ্রীমানি বলেন, বৈদ্যবাটিতে এক প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে বউদির সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা নিয়ে কয়েকমাস ধরে দাদা ও বউদির মধ্যে অশান্তি চলছিল। সম্প্রতি দাদা হাওড়ার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিল। বৃহস্পতিবার দাদা জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে বৈদ্যবাটিতে গিয়েছিল। রাতে আমরা জানতে পারি, দাদাকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় বৈদ্যবাটির রাস্তায় পাওয়া গিয়েছে। বউদি ও তাঁর প্রেমিক মিলে দাদাকে খুন করেছে। আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযুক্ত জ্যোতি কুণ্ডু নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। যদিও তাঁর কথায় অনেক অসঙ্গতি মিলেছে বলে পুলিস সূত্রের দাবি।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। হাওড়ার একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন দীপঙ্কর। স্ত্রী ডেকেছে, মাকে একথা বলে বিকেলের দিকে বৈদ্যবাটিতে চলে আসেন তিনি। রাতে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি নির্জন জায়গায় তাঁকে ক্ষতবিক্ষত, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর ভাড়া বাড়ির দূরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। সেটি ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। খবর পেয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিজিৎ গুহ পুলিসকে বিষয়টি জানান। রাতেই পুলিস দীপঙ্করকে উদ্ধার করে শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করে। দ্রুত তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর মৃতের পরিবার দীপঙ্করের স্ত্রী’র নামে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্যোতির সেই প্রেমিক বুধবার রাত থেকেই নিখোঁজ। ফলে সন্দেহ আরও দানা বেঁধেছে। তদন্তকারী ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপঙ্কর একটু পেটুক স্বভাবের ছিলেন। তাই জামাইষষ্ঠীর ভুরিভোজ ও সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েই সম্ভবত তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে ঘটনা ঠিক কী, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত ধোঁয়াশা কাটেনি।