সংবাদদাতা,  বারুইপুর: সোমবার ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা রাজীব গান্ধীর মৃত্যু দিবস ছিল। এদিনও তাঁর মূর্তি দিনভর পড়ে রইল অনাদরে। বারুইপুরের ঋষি বঙ্কিম নগর মোড়ে মূর্তিটি রয়েছে। এদিন কংগ্রেসের কেউ সেখানে গেলেনই না। বারুইপুর থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের কোনও নেতা এদিন মূর্তিতে মালা পরালেন না। শ্রদ্ধা পর্যন্ত জানালেন না। দিনের শেষে এ নিয়ে সমালোচনায় মুখর হলেন কংগ্রেসের সমথর্করা। সাধারণ মানুষও কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের ভূমিকার বিস্তর নিন্দা করলেন।    
ঋষি বঙ্কিম নগর মোড়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মূর্তিটি বছরভর এমনিতেই অযত্নেই পড়ে থাকে। দীর্ঘ কয়েক বছর হল সেটিতে রঙের প্রলেপ পড়েনি। মূর্তি সংলগ্ন জায়গাটি ভ্যান ও সাইকেল রাখার স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস দলের একটি পতাকা রয়েছে। সেটিও নেতানো অবস্থায় পড়ে। মূর্তির আশপাশ ঘিরে চায়ের এঁটো মাটির ভাঁড় পড়ে থাকে। আবর্জনা ও প্লাস্টিকে ভরে জায়গাটি। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এই জায়গা কোনওদিনই সাফ করা হয় না। যে দল শ্রদ্ধেয় নেতাকে তাঁর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে পারে না, সেই দল ভোটে লড়বে কী করে? এই জন্যই কংগ্রেসের এরকম শোচনীয় অবস্থা। এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, কংগ্রেসের যেমন এদিকে কোনও নজর নেই। তেমনই তৃণমূলও ভুলেছে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। পুরসভা এলাকায় রয়েছে এই মূর্তি। কিন্তু তাঁদের পক্ষ থেকেও কেউ মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজন মনে করলেন না। কালু ঘোষ নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘বারুইপুরের কংগ্রেস নেতাদের বিবেক নেই। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ও দলের নেতাকে সম্মান জানানোর তাগিদ পর্যন্ত নেই। তাঁরা কোন মুখে ভোট দেওয়ার কথা বলেন?’ বারুইপুরের কংগ্রেস নেতা অসিত নাগ বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি দেখছি বিষয়টি।’ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি জয়ন্ত দাসকে এ বিষয়টি জানতে ফোন করা হয়েছিল। তিনি কোনও উত্তরই দেননি। আর বারুইপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দ্রুত দেখছি।’ - নিজস্ব চিত্র