কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ৭৩, ৮২ ও ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড টালিনালা সংলগ্ন হলেও এসব এলাকায় আদি গঙ্গার পাড় অনেকটা উঁচু। কিন্তু ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডে পাড় নিচু হওয়ায় বান বা জোয়ারের সময় প্রচুর জল রাস্তায় চলে আসে। ঢুকে পড়ে আশপাশের বাড়িঘরে। প্রচণ্ড বৃষ্টি হলে বা ষাঁড়াষাঁড়ি বানের সময় এই ওয়ার্ডের কালীঘাট বাজার, বড় গলি, চক্রবর্তীপাড়া, মায়ের সদর ঘাট, মেটে গলি, মিষ্টি গলি, গদার মাঠ, নেপাল ভট্টাচার্য স্ট্রিট প্রথম লেন, কালীঘাট রোডের একাংশ, সূর্য সঙ্ঘ ক্লাব সংলগ্ন এলাকা, দেবনারায়ণ ব্যানার্জি লেন, সদর ঘাট ও সংলগ্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা অনিতা মজুমদার, রাখাল সমাদ্দার, কিশলয় লোহাররা জানাচ্ছেন, বর্ষায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। গঙ্গায় জোয়ার থাকাকালীন বৃষ্টি হলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জল নামে না। মানুষের ঘরে পর্যন্ত জল ঢুকে যায়।
সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে এই সমস্যার কথা জানান ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীরকুমার মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘জল নেমে গেলে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। কাদা, আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়।’ তাঁর প্রস্তাব, ‘জায়গাগুলি সার্ভে করে দেখা যেতে পারে। ওখানে পাঁচিল তোলা গেলে আশা করা যায়, আর জল ঢুকবে না।’ তাঁর কথার পরিপ্রেক্ষিতে পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, ‘আমার ৮৮ নম্বরে ওয়ার্ডে কিছু জায়গায় টালিনালার পাড় বরাবর গার্ডওয়াল অনেক বছর আগেই বানানো হয়েছে। একই রকম ব্যবস্থা ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডেও করা যেতে পারে।’ মেয়র জানিয়েছেন, এই চত্বরে জল জমার সমস্যার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, টালিনালার উপর তৈরি হবে উঁচু ব্যারেজ। পাশাপাশি হবে একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশনও। এই কাজের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। ঠিক হয়েছে, টালিনালা এবং গঙ্গার সংযোগস্থলে, দইঘাটের কাছাকাছি এই ব্যারেজ ও পাম্পিং স্টেশনটি তৈরি করা হবে। এর জন্য কলকাতা বন্দরের কাছ থেকে জমি কেনার ব্যবস্থা করবে পুরসভা।