শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
পথচারীদের স্বার্থে গত কয়েক বছরে শহরে তৈরি হয়েছে ডজনখানেক ফুট ওভারব্রিজ। কিন্তু এর মধ্যে অনেকগুলিই অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। উল্টোডাঙার কাছে সিআইটি রোডে অব্যবহৃত ফুট ওভারব্রিজটির একাধিক অংশ বিপজ্জনকভাবে রয়েছে। অনেকেই ফুট ওভারব্রিজটি এড়িয়ে চলেন। স্থানীয় একটি স্কুলের পড়ুয়াদের পারাপারের জন্যে রাজাবাজারে তৈরি হওয়া ফুট ওভারব্রিজটি বর্তমানে ঝুপড়িবাসী আর নেশাখোরদের দখলে। শিয়ালদহের ফুট ওভারব্রিজটিও সে ভাবে ব্যবহার করেন না পথচারীরা। পার্ক সার্কাস চার নম্বর সেতুর কাছে ফুট ওভারব্রিজে রয়েছে লিফটের সুবিধা। কিন্তু লোকসংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। এসকালেটর থাকা সত্ত্বেও একই অবস্থা গড়িয়াহাটের ফুট ওভারব্রিজটিরও। শহরের বুকে আরও বেশ কয়েকটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনের ফুট ওভারব্রিজটি নতুন। পথচারীদের যুক্তি, এসকালেটর এবং লিফট বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে। প্রত্যেকের পক্ষেই এতটা সিঁড়ি ভেঙে ওঠা কষ্টকর। ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার এর থেকে ‘সুবিধাজনক’ বলে মনে করছেন তাঁরা।
পথচারীদের অভিযোগ, এই শহরে মূলত বিজ্ঞাপন ঝোলানোর খাঁচা হিসেবেই ফুট ওভারব্রিজের ব্যবহার হয়। নাগরিকদের পরিষেবা দিতে উৎসাহী নয় বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি। পুরসভার এক শীর্ষকর্তা জানান, ফুট ওভারব্রিজ কখনওই তাঁরা দেখভাল করেন না। যে বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলি এগুলি তৈরি করে, তারাই দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। কারণ, তারা বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা করে তা থেকে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি অর্থ আদায় করে। তবে শহরের ভিতরে কোনও ঘটনা ঘটলে দায় যেহেতু পুর প্রশাসনের উপরই পড়ে, তাই এই কাজ পুরসভাকেই করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, প্রতি ছ’মাস অন্তর হেলথ অডিট করতে হবে এবং পুর কমিশনারের কাছে তার রিপোর্ট দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কলকাতা পুলিসের তরফেও যাবতীয় সাহায্য করা হবে এই অডিটের কাজে। উল্লেখ্য, মাঝেরহাট উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পর শহরের ২১টি ব্রিজের হেলথ অডিটের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখনই ফুট ওভারব্রিজগুলির হাল নিয়ে আলোচনা হয়।