শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ পাণ্ডুয়া থানার বৈঁচি চৌমাথায় জি টি রোডের উপর আলু ছড়িয়ে দিয়ে ভারত কিষাণ মহাসভার সমর্থকরা অবরোধ শুরু করেন। অবরোধের জেরে চৌমাথার সব দিকেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। খবর পেয়ে পাণ্ডুয়া থানার পুলিস গিয়ে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে রাস্তা ফাঁকা করে। প্রায় একই সময়ে মহিপালপুরেও অবরোধ চলে। সংগঠনের রাজ্য কমিটির সভাপতি অন্নদাপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেন, হুগলির আরামবাগ থেকে বর্ধমানের জামালপুর আলু চাষ করে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির বোঝা সহ্য করতে না পেয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ জন আলু চাষি মারা গিয়েছেন। এখনও হাজার হাজার চাষি ঋণের জালে জড়িয়ে কোনও রকমে বেঁচে রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের অন্দোলন শুধু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নয় আমাদের আন্দোলন কেন্দ্রীয় কৃষি নীতিরও বিরুদ্ধে। তাই অবিলম্বে দুই সরকার কৃষি নীতির পরিবর্তনের পাশাপাশি উপযুক্ত দামে আলু, পেঁয়াজ সহ অন্যান্য ফসল কেনার ব্যবস্থা না নিলে আমরা জেলা নয় রাজ্য জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
অন্যদিকে, আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা। দাম না পাওয়ায় বর্ষায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর যেটুকু পেঁয়াজ রয়েছে তা মাঠে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু চাষিদের আবেদনে রাজ্য সরকার কোনও নজর দিচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার রাস্তায় পেঁয়াজ ফেলে পথ অবরোধে শামিল হল ভারতীয় জনতা পার্টির কৃষক সংগঠন বিজেপি কিষাণ মোর্চা। এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বলাগড় থানার মুক্তারপুরে অসম লিঙ্ক রোড অবরোধ করে তারা। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ চলে। খবর পেয়ে বলাগড় থানার পুলিস এসে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। তবে নির্বাচনের মুখে আলু ও পেঁয়াজের ক্ষতি নিয়ে বিরোধীদের এই আন্দোলনকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।