উচ্চশিক্ষার জন্য নামী প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টা সফল হতে পারে। ব্যবসায় উন্নতির নতুন পথের দিশা। ... বিশদ
১১৯ রানের পুঁজি নিয়ে নাটকীয় জয়ের পর বুমরাহর গলায় অবশ্য অভিমান, ‘এক বছর আগে অনেকে বলেছিলেন যে আমি হয়তো আর খেলতে পারব না। আমার কেরিয়ার শেষ বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। এখন অবশ্য তাঁরাই উল্টো সুরে গাইছেন। বলা হচ্ছে জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছি আমি।’ আর তাই সমালোচকদের কোনও গুরুত্ব নেই তাঁর কাছে। ৩০ বছর বয়সি বলেছেন, ‘কীভাবে শট নিতে দেব না ব্যাটারকে? কোন ডেলিভারিটা কাজে আসবে? আমি তা নিয়েই ভাবতে থাকি। কী করা উচিত, তাতেই ফোকাস রাখি। বাইরের কথাবার্তা কানে নিই না। তা নাহলে চাপে পড়ে যাব। আমি যদি লোকজনের মন্তব্যে গুরুত্ব দিই, তবে আবেগ গ্রাস করবে। তখন সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে পারব না।’
টি-২০ বিশ্বকাপে রবিবরারই কেরিয়ারের সেরা বল করেছেন বুমরাহ। ১৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। লো স্কোরিং ম্যাচে সাফল্যের নেপথ্য রহস্য কী? তাঁর উত্তর, ‘ইয়র্কার, বাউন্সারের মতো ম্যাজিক ডেলিভারির পিছনে ছুটলে চলবে না। উইকেটে পাওয়ার জন্য মরিয়া হলেও হবে না। তাতে রান করতে সুবিধা হয় বিপক্ষের। তার উপর পাকিস্তান জানত, জেতার জন্য কত রান চাই। আমাদের তাই সতর্ক থাকতে হয়েছিল। পিচ থেকে সাহায্য মিললে অধিকাংশ সময়েই আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। বাউন্সার, ইনসুইং, আউটসুইং— সব রকমের ডেলিভারি করার ইচ্ছা হয়। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী অস্ত্র ব্যবহার করতে হয়। এই প্রয়োগ কৌশল আমি শিখেছি।’
রবিবার বল করতে যাওয়ার সময় অবশ্য ভারতীয় পেসারদের জন্য খুব বেশি সহায়তা মজুত ছিল না। বুমরাহর কথায়, ‘তেমন সিম-সুইং হচ্ছিল না। সামান্যই মুভমেন্ট ছিল। তাই নিজেরা ঠিক করেছিলাম যে আতঙ্কিত হব না কোনও মতেই। একটা-দুটো বাউন্ডারি এদিক ওদিক দিয়ে ঠিক হবে। কেউ হয়তো ভালো শট খেলে দিল। তা নিয়ে না ভেবে ঠিক জায়গায় বল করা জরা জরুরি। এই ইতিবাচক মানসিকতাই গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। দলের মধ্যে কখনও প্যানিক ছড়িয়ে পড়েনি। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’
ক্রিকেটে ব্যাট ও বলের লড়াই ভালো লাগে বুমরাহর। তেমন ম্যাচই টিভিতে দেখতে চান। তাঁর যুক্তি, ‘ব্যাট বনাম ব্যাটের খেলা হলে তবেই টিভিতে দেখি। না হলে বন্ধ করে দিই টিভি। ছোট থেকেই বোলিং ভালো লাগে। ব্যাট ও বলের মধ্যে চ্যালেঞ্জ থাকলে তবেই ক্রিকেট দেখতে ভালোবাসি।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার ভাইরাল হয়েছে তাঁর ইন্টারভিউ নিতে স্ত্রী সঞ্জনার মাইক হাতে উপস্থিতি। সেখানে সঞ্জনা জিজ্ঞাসা করেন আজ ডিনারে কী রান্না হবে? বুমরাহর উত্তর শোনা না গেলেও রসিকতা করে গণমাধ্যমে একজন লেখেন, ‘আমি তো এইমাত্র পাকিস্তানকেই রান্না করে এলাম!’