গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কলকাতার ময়দানে ভালো খেলোয়ার হিসেবে একসময় নামডাক ছিল বাপ্পার। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর খুবই মর্মাহত হয়ে পড়েছিলেন। তবে ফুটবল যাঁর ধ্যানজ্ঞান তাঁকে মাঠ থেকে খুব বেশিদিন দূরে রাখা সম্ভব নয়। ফলে বাপ্পা রোজ মাঠে যেতেন। খেলতেন না কিন্তু পরামর্শ দিতেন। তাঁর মনের জোর অসম্ভব। একদিন হঠাৎ মাঠে নেমে পড়েন বল পায়ে নিয়ে। তারপর প্রায় ম্যাজিক। হাজার চিকিৎসক যা পারেননি, স্রেফ মনের জোরে সে কাজটা সম্ভব করে ফেললেন চোট খাওয়া এক ব্যক্তি। বাপ্পা ফের ফুটবল খেলা শুরু করলেন। নিয়মিত প্র্যাকটিসে খেলা আরও ধারাল হল। যোগ দিলেন ক্যালকাটা ভেটারেন ক্লাবে। এখন নিয়মিত মাঠে নামেন। এবার যাচ্ছেন তিকিতাকার দেশ স্পেনে। মাদ্রিদে ২২ থেকে ২৬ মে ৪৫ ঊর্দ্ধদের জন্য ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসছে। সেখানে অংশ নিয়েছে ভারত। আর ভারতের প্রতিনিধি সুব্রত দত্ত ওরফে বাপ্পা। সে টুর্নামেন্টে ভারত ও স্পেন ছাড়াও ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি সহ আটটি দল অংশ নিয়েছে। রবিবার চাকদহ থেকে হাওড়া হয়ে ট্রেনে দিল্লি রওনা দিলেন সুব্রত। সোমবার রাতে দিল্লি থেকে স্পেনের বিমান ছাড়বে। তাতে করেই যাবে ভারতীয় দলটি।
সুব্রতর বয়স এখন ৪৫। চাকদহ ব্লকের তাতলা দু’নম্বর পঞ্চায়েতের কামালপুরের বাসিন্দা তিনি। ক্যালকাটা ভেটারেন ক্লাবের হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশেও গিয়েছেন খেলতে। যখন ১০ বছর বয়স তখন পাড়ার মাঠে খেলা শুরু করেছিলেন বাপ্পা। পরে জেলা এবং কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের কথা ভেবে এলাকার স্কুলের মাঠে ফুটবল কোচিং ক্যাম্প চালান। সেখানে একশোরও বেশি ছেলে-মেয়ে প্রশিক্ষণ নেয়। তাদের উৎসাহ দিতে পরিচিত খেলোয়াড়দের অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘ভেটারেন ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় খেলার মাধ্যমে পুরানো দিনের স্মৃতি ফিরে পাচ্ছি। স্পেনে যেতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’