কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সাবিয়া এবার চুনাখালি নিমতলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ফার্স্ট ডিভিশনে পাশ করেন। বছর দুয়েক ধরে সাবিয়ার সঙ্গে মানোয়ার হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিলে সাবিয়ার পরিবার রাজি হয়নি। মৃতার মাসি সুরমা খাতুন বলেন, আমরা রাজি হলেও পরে ছেলের বাড়ি থেকেই আপত্তি তোলা হয়। মানোয়ারের বাড়িতে অমত থাকায় সাবিয়া সম্প্রতি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসে। তাতেই মানোয়ারের ক্ষোভ জমে।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে দৌলতাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করছিলেন সাবিয়া। সেই সময় মানোয়ার সেখানে গিয়ে ফের বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। তখনই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ধারালো অস্ত্র বের করে প্রেমিকাকে এলোপাথাড়ি কোপায় মানোয়ার। সাবিয়াকে চোখের সামনে ঢলে পড়তে দেখেন তাঁর বান্ধবী। পরে অনেকেই মানোয়ারকে রক্তাক্ত ছুরি নিয়ে যেতে দেখেন। সাবিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের বাবা সরিফুল শেখ কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। মা বিড়ি শিল্পী সামিমা বিবি বলেন, ওই ছেলে বছর দুয়েক আগে ইট ভাটার এক আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানি করেছিল। তাই আমরা প্রথমে বিয়েতে রাজি হয়নি। তার জন্য মেয়েকে এভাবে খুন করবে ভাবতেই পারছি না।
ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। দৌলতাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের প্রতিনিধি নুরসেলিম মণ্ডল বলেন, প্রকাশ্যে নৃশংস ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
এই ঘটনা বহরমপুর শহরে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীর প্রকাশ্য খুনের ঘটনাকে উস্কে দিল। ২০২৩ সালের ২ মে বহরমপুর গোরাবাজারের এক হস্টেলের সামনে প্রেমিকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বহরমপুর গার্লস কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী। ঘটনায় অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীর ফাঁসির সাজা হয়েছে। সেদিনও বহুজন সুতপা খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। কিন্তু, সুশান্তের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখে কেউ সাহস করে বাধা দিতে এগিয়ে যাননি। পরে জানা যায় সেটা খেলনা পিস্তল ছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আতঙ্কের ছায়া আরও ঘন হয়েছে।