কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
যদিও বিরোধী দুই শিবির কংগ্রেস ও বিজেপি তৃণমূল নেতাদের এই দাবিতে প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে। বিরোধীদের দাবি, মহিলারাও তৃণমূলের অপশাসনে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন।
বেলডাঙা ও রেজিনগর বিধানসভায় মহিলা ভোটের সংখ্যা পুরুষ ভোটারের প্রায় সমান সমান। বেলডাঙা বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৩ জন।
অন্যদিকে রেজিনগর বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪৭২ জন। মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৫৭ জন। দুই কেন্দ্রের মোট মহিলা ভোটার প্রায় ২ লক্ষ ৬০ হাজার। প্রচারের শুরু থেকেই দুই বিধানসভার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তাদের তৃণমূলের ভোট প্রচারে পথে নামতে দেখা গিয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী প্রাপকদের অভিভাবকরাও তৃণমূলের প্রচারে পায়ে পা মিলিয়েছেন। বিশেষ করে বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীন রাjধরপাড়া নেতাজি সঙ্ঘের মাঠে ইউসুফ পাঠানের জনসভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ৫০ জন উপভোক্তা প্রত্যেকে তৃণমূল প্রার্থীর হাতে একমাসের ভাতা তুলে দিয়েছেন। এই খবর মহিলা মহলে ছড়াতেই অনেক উপভোক্তা আফশোসে হাত কামড়েছেন। তিনি কেন এই যজ্ঞে শামিল হতে পারেননি? সেদিন বিলকিস খাতুন, মার্জিনা বিবি, বিন্দুবালা মজুমদার, সবিতা ভাদুড়ীদের এই দান ইউসুফ পাঠানের চোখ ভিজিয়ে দিয়েছিল। বাতাসে ভর করে সেই কাহিনি দিকে দিকে ছড়িয়েছে। বেলডাঙা পুরসভা এলাকায় মহিলাদের প্রচারে একটাই আহ্বান ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তোমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভরিয়েছে। এবার তার প্রতিদানের পালা। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহিলারা ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। বেলডাঙা টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সহ সভানেত্রী মধুমিতা বিশ্বাস বলেন, এবার মহিলারাই আমাদের শক্তি। তার ইঙ্গিত মহিলারাই আমাদের দিয়েছেন। মহিলা ভোট এবার কোথাও যাবে না।
যদিও বিরোধীরা তৃণমূলের মহিলা ভোট ব্যাঙ্কের আস্থায় শিলমোহর দিতে চাননি। বেলডাঙার বিজেপি নেতা ভরত ঝাওর বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রাজ্য সরকারের প্রকল্প। তৃণমূল দলের ভিক্ষা নয়। বিজেপি সরকারে এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তিন হাজার করা হবে। বিজেপির পক্ষ থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে। বেলডাঙার প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক সফিউজ্জামান শেখ বলেন, মহিলা আজ শুধু হেঁশেলে বন্দি নন। রাজনীতির অআকখ বুঝতে শিখেছেন। ভুল বুঝিয়ে লাভ হবে না।