সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
জেলা তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সান্টু ভদ্র বলেন, করোনা মহামারীর কারণে রাজ্যজুড়ে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ছোট ছেলেমেয়েদের মানসিক চাপ কাটিয়ে পঠন-পাঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩৭টি চক্র রয়েছে। প্রতিটি চক্রের আগ্রহী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এলাকাভিত্তিক একটি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পৃথক পৃথক হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। তাতে অভিভাবকদের সংযুক্ত করে সকাল পৌনে এগারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত একাধিক ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এমনকী ক্লাস শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীতও গাওয়া হচ্ছে। সংগঠনের নদীয়া জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা বলেন, অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি আমরা একটি ইউ টিউব চ্যানেলের ব্যবস্থা করেছি। তা দেখেও পড়ুয়ারা উপকৃত হবে।
বেথুয়াডহরি বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সৌমিক মণ্ডল। বাড়িতে বসেই অনলাইন ক্লাস করতে পেরে বেজায় খুশি সে। তার মা তৃতীয়া মণ্ডল বলেন, শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানাই। এতদিন ছেলে বাড়িতে থাকলেও টিভিতে কার্টুন দেখে সময় কাটাত। কিন্তু অনলাইনে বইয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চারও সুযোগ মিলছে।