সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
সম্প্রতি কলকাতার নিউ মার্কেটে একটি এটিএম অক্ষত রেখে কয়েক লক্ষ টাকা লুট হয়। একইভাবে সল্টলেক, জগদ্দল ও নোয়াপাড়ায়ও এটিএম লুট হয়। এই ঘটনাগুলি সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে রামপুরহাট পুলিস। এদিন বৈঠকে পুলিসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শক্তিশালী সিসি ক্যামেরা এমন জায়গায় বসাতে হবে যাতে এটিএম ব্যবহারকারীদের চেহারা স্পষ্ট বোঝা যায়। রোটেশন অনুযায়ী রক্ষী নিয়োগ করতে হবে এবং তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থানায় জমা দিতে হবে। লাইসেন্স বন্দুক রয়েছে এমন লোকজনদের ব্যাঙ্কের ওয়াচম্যান হিসাবে কাজে লাগাতে হবে। ব্যাঙ্কগুলিতে অবশ্যই সাইরেন ব্যবস্থা রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, রামপুরহাটে এটিএম লুট নতুন নয়। অতীতে বিভিন্ন সময় এখানে একাধিক এটিএম কাউন্টারে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। অপারেশন চালানোর সময় দুষ্কৃতীরা সিসি ক্যামেরা অকেজো করে দেয়। তাই গোপন ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি ডিভিআর মেশিন নিরাপদ জায়গায় রাখতে বলা হয়েছে। ব্যাঙ্কের ক্যাশভ্যান যাওয়ার সময় অবশ্যই পুলিসকে জানাতে হবে। আর যেসব গ্রাহক মোটা টাকা তুলবেন সেক্ষেত্রে পুলিসকে আগাম জানাতে হবে। কারণ, তাঁদের নিরাপত্তা দেবে পুলিস।
এসডিপিও বলেন, কোন ব্যাঙ্কের কত এটিএম এবং তার লোকেশন দ্রুত থানায় জমা দিতে বলেছি। সেই সঙ্গে এটিএমগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করতে হবে। মাস্ক ও হেলমেট পড়ে এটিএম কাউন্টারে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটিএম লুট রুখতেই ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সতর্ক করা হল।