সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
জেলা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, গত অর্থ বছরেও প্রায় সমপরিমাণ টাকা পঞ্চদশ অর্থ কমিশন থেকে পাওয়া গিয়েছিল। সেবারও তাতে রাস্তা সংস্কার ছাড়াও পথবাতি বসানো এবং আর্সেনিকমুক্ত প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। এবারও অর্থ কমিশনের টাকায় কী কী কাজ হবে তার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সাহানাজ বেগম বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা দু’ভাগে খরচ করা হয়। গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করি।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা আগে জেলা পরিষদগুলি পেত না। কিন্তু নতুন গাইডলাইন তৈরি করে গতবছর থেকে তাদেরও অর্থ দেওয়া হচ্ছে। তবে কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে তার বিস্তারিত বিবরণ আগে জেলা পরিষদগুলিকে অর্থ কমিশনের কাছে পাঠাতে হয়। সেইমতো তারা টাকা মঞ্জুর করে। প্রতিটি কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলি ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গিয়েছে। তারা টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি না থাকায় পরিকল্পনা করতে কিছুটা দেরি হয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ধরনের কাজের রূপরেখা সাধারণত সভাধিপতি ঠিক করেন। কিছুদিন আগেই জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে মোশারফ হোসেন মণ্ডল পদত্যাগ করেছেন। নতুন সভাধিপতি নির্বাচন এখনও হয়নি। অবশেষে কয়েকদিন আগে কর্মাধ্যক্ষ ও আধিকারিকরা বৈঠকে বসে রূপরেখা ঠিক করেন। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, একমাসের মধ্যেই জেলা পরিষদগুলিতে অর্থ কমিশনের টাকা আসার কথা রয়েছে। অর্থ পাওয়ার পর টেন্ডার করে তারা কাজ শুরু করতে পারবে। কাজের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য একাধিক নিয়ম করা হয়েছে। রাস্তা সংস্কার বা অন্যান্য কাজ হওয়ার পর তা ছবি তুলে নির্দিষ্ট পোর্টালে আপলোড করতে হবে। প্রয়োজনে আধিকারিকরা সরেজমিনে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করবেন।