সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
তাঁদের অভিযোগ, প্রাক্তন বিধায়ক স্বাধীন বৈষ্ণবনগরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দিচ্ছেন। যার কারণে বৈষ্ণবনগরে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে। লোকসভায় বিজেপি প্রার্থী আশানুরূপ লিড পাননি। লিড কমে গিয়েছে। জেলা সহ সভাপতির ইন্ধনেই চাঁই সমাজের বিজয়কুমার সরকার নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাধীনকুমার সরকার। তাঁর কথায়, আমাকে কিছু লোক কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে স্বাধীন বিজেপির প্রতীকে জয়ী হন। এরপর থেকে এলাকার সংগঠন চাঙ্গা হয়। পরে স্বাধীনের গা ছাড়া মনোভাবের জন্য সংগঠনের ভীত দুর্বল হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ।
যার ফলে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করতে পারেনি। এমনকী পঞ্চায়েত সমিতির সঙ্গে সঙ্গে তিনটি জেলা পরিষদ আসনও তৃণমূলের দখলে যায়। বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মী দেবাশিস লালা বলেন, বিধায়ক হয়ে স্বাধীন মানুষের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। কর্মীদের পাত্তা দিতেন না। ভোটে জেতার পর থেকেই তাঁকে এলাকায় দেখা যেত না। এতে মনোবল ভেঙে গিয়েছিল নিচুতলার কর্মীদের। যার ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারতে হয়েছে।
একুশের বিধানসভাতেও বৈষ্ণবনগরে বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থীর কাছে। বিজেপি নেতা জগাই ঘোষের বক্তব্য, বিধানসভায় ঠিকিট পাবেন না জেনেই স্বাধীন এখন থেকেই দলবিরোধী কাজ করছেন। সংগঠনের মিটিং মিছিলেও তিনি আসেন না। উল্টে লোকসভা নির্বাচনে চাঁই সমাজের নির্দল প্রার্থীকে সাহায্য করে বিজেপির ভোট কাটতে সাহায্য করেছেন। বিষয়টি আমরা উপরমহলে জানিয়েছি। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, স্বাধীনের বিরুদ্ধে কর্মীদের কাছ থেকে প্রচুর অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলা কমিটির তরফে।